বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলে প্রবল গতিতে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এর জেরে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের বিভিন্ন উপকূলীয় জায়গায় ঝড়বৃষ্টি হয়। এই আবহে আতঙ্কে ছিলেন বাংলাদেশের কক্সবাজার, টেকনাফ অঞ্চলের বাসিন্দারা। ঘূর্ণিঝড় মোখার যাবতীয় লাইভ আপডেট জানতে চোখ রাখুন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায়।
রাতেই খুলছে চট্টগ্রাম বন্দর, সোমবার সকালে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর
ঘূর্ণিঝড় মোখার বিপদ কেটে গিয়েছে। রাতেই খুলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর। সেইসঙ্গে সোমবার খুলছে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর। সোমবার সকাল ছ'টা থেকে পরিষেবা শুরু করা হবে।
মোখার জেরে কক্সবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ১২,৫০০ বাড়ি
ঘূর্ণিঝড় মোখার জেরে বাংলাদেশে কক্সবাজারে প্রায় ১২,৫০০ ঘববাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রভাব পড়েছে তিন লাখের বেশি মানুষের উপর।
কবে বাংলাদেশে গ্যাস ও বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হবে?
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশে গ্যাস এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হবে। জানালেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই মোখার মধ্যে সমুদ্রে, উদ্ধারের চেষ্টা মৎস্যজীবীদের
নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই সমুদ্রে গিয়েছেন কয়েকজন মৎস্যজীবী। যাঁরা ফেনির সোনাগাজি উপজেলার বাসিন্দা। তাঁদের সুরক্ষিতভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য ইতিমধ্যে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা।
স্থগিত সোমবারের এসএসসি পরীক্ষা
সোমবার এসএসসি ও সমমানের যে যে পরীক্ষা ছিল, তা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশের আন্ত:শিক্ষা সমন্বয় বোর্ড। ওই পরীক্ষা কবে হবে, তা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বোর্ড।
দুর্বল হয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করল মোখা
দুর্বল হয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করল মোখা। বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, উপকূল পার হওয়ার পর আরও দুর্বল হয়ে পড়বে মোখা। যে ঘূর্ণিঝড় ইতিমধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অন্তত ৩৪০ বাড়ি ভেঙে পড়েছে
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অন্তত ৩৪০ টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে প্রচুর গাছপালা। প্লাবিত হয়েছে একাধিক গ্রাম। প্রবল জলোচ্ছ্বাস হয়েছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে।
বাংলাদেশ ও উত্তর মায়ানমার উপকূল পার মোখার
বাংলাদেশের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং উত্তর মায়ানমার উপকূল পার করে গিয়েছে মোখা।
আগামী ২৪ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
আগামী ২৪ ঘণ্টা উপকূলীয় ও পাবর্ত্য জেলায় ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। উত্তরপূর্ব ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং দক্ষিণ অসমের বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে আজ। মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং দক্ষিণ মণিপুরে বাড়িঘরের সামান্য ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে মাঠের ফসলেরও ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইএমডি জানিয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। এর জেরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বহাল মহাবিপদ সংকেত
বাংলাদেশের চার সমুদ্র বন্দরের (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা, মোংলা) জন্য আগের মহাবিপদ সংকেত সন্ধ্যা পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
সেন্টমার্টিনে গাছ পড়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন
সেন্টমার্টিনে গাছ পড়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৪০টি বাড়ি
সেন্টমার্টিন দ্বীপের অন্তত ৩৪০টি ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে মোখার জেরে। এদিকে মায়ানমারের সিটওয়ে, কিয়াউকপিউ ও গওয়া শহরে বাড়িঘর, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, মোবাইল ফোন টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়র মোখা
মায়ানমারের স্থলভাগে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়র মোখা। এর আগে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেলা আড়াইটে নাগাত সর্বোচ্চ ১৪৭ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ো বাতাস রেকর্ড করা হয় বলে জানা গিয়েছে চ্যানেল আই-এর রিপোর্টে।
ভূমিধসের জেরে মৃত্যু দম্পতির
মোখার জেরে ভূমিধসে চাপা পড়ে মৃত্যু দম্পতির। তাচিলেকে এই দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। পরে উদ্ধারকারী দল মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে।
সাগরে ভাটার মধ্যেই ভূ-ভাগে আঘাত মোখার
ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রস্থল টেকনাফ, সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও মায়ানমারের সিটওয়ের উপর দিয়ে গিয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র যখন উপকূলে পৌঁছায়, তখন সমুদ্রে ভাটা শুরু হয়। এর জেরেই ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রেই অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছিল বলে জানান আবহাওয়াবিদরা।
অনেক ক্ষয়ক্ষতি
মায়ানমার উপকূলে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে বিবিসি সূত্রে। এদিকে অবেক বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। একটি টেলিফোন টাওয়ারও ভেঙে পড়েছে।
মৃত্যু এক কিশোরের
মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে ১৪ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখার জেরে। গাছ পড়ে সেই কিশোরের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে মায়ানমারারে উপকূলের জনবসতিতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রান্নার গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত
ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাজেশের মহেশখালিতে অবস্থিত এলএনজি সরবারহের দুটি ভাসমান টার্মিনাল। এই দুই টার্মিনালের একটির মেরামতির জন্য ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যটি ২ দিনেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এদিকে ঝড়ের জেরে বিদ্যুত সরবরাহ ব্যাহত বাংলাদেশে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দু'দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী।
নোয়াখালিতে বৃষ্টি, মৎস্যজীবীরা নামলেন নদীতে
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে নোয়াখালিতে বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। তবে এরই মধ্যে অনেক নৌকা নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বাতিল এসএসসি পরীক্ষা
দেশের সব কটি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষা বাতিল হল সোমবারের জন্যও। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, বরিশাল ও যশোর শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ১৫ মে-এর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
সীমান্তের এপারেও প্রভাব পড়বে মোখার
ত্রিপুরা, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং দক্ষিণ অসমের বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে মোখার জেরে। মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং দক্ষিণ মণিপুরে বাড়িঘরের সামান্য ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে মাঠের ফসলেরও ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইএমডি জানিয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। এর জেরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আগামী তিনঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় মোখা শক্তি হারাবে
আগামী তিনঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় মোখা শক্তি হারাবে। উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা গত ৩ ঘণ্টায় ২৫ কিমি বেগে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর মায়ানমার এবং দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে। কিউকপিউ (মায়ানমার) এবং কক্সবাজারের মধ্যে দিয়ে ল্যান্ডফল হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের।
ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬৮ কিমি
বর্তমানে ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬৮ কিলোমিটার। সকাল থেকে ভাটা শুরু হয়েছে। তাই জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা নেই বাংলাদেশের উপকূলে।
'জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা নেই'
ঘূর্ণিঝড় মোখার জেরে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা নেই বলে জানান বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবিলা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
কত গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইছে?
১২০-১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে কক্সবাজার এলাকা দিয়ে। টেকনাফে ঝড়ের গতি আরও বেশি। মায়ানমার উপকূলে ঘূর্ণির গতি অবশ্য প্রায় ২০০ কিমি প্রতি ঘণ্টার কাছাকাছি।
টেকনাফ থেকে ৫০ থেকে ৬০ কিমি দূর দিয়ে ভূ-ভাগে প্রবেশ মোখার
টেকনাফ থেকে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূর দিয়ে মায়ানমারের সিটওয়ে অঞ্চল দিয়ে ভূ-ভাগে প্রবেশ করছে ঘূর্ণিঝড় মোখা।
মূল আঘাত মায়ানমারে
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মূল আঘাত হানবে মায়ানমারের ওপর। এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর। এই আবহে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে সেভাবে কোনও বিপদ নেই বলে জানানো হয়েছে।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ যেতে পারে জলের নীচে
ঘূর্ণিঝড় মোখার জেরে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ সাময়িকভাবে জলের নীচে চলে যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
মোখার ‘চোখ’রাঙানি
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্র বাংলাদেশি সময় তিনটে নাগাদ উপকূলে আছড়ে পড়বে। বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড়টির ‘চোখ’ মায়ানমার উপকূল থেকে ৩০ কিমি দূরে। কক্সবাজার থেকে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র ১৫০ কিমি দূরে রয়েছে।
সকালে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়েছিলেন অনেকে, বেলা গড়াতেই শুরু হল তাণ্ডব
সকালের দিকে ততটাও জোরে হাওয়া দিচ্ছিল না বা বৃষ্টি হচ্ছিল না। এই দেখে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া অনেকেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন বাংলাদেশের সন্দ্বীপ এবং সাহপরির দ্বীপে। তবে বেলা গড়াতেই উপকূলে তাণ্ডব বেড়েছে। কক্সবাজার এবং সংলগ্ন এলাকায় প্রবল বেগে হাওয়া বইছে। উপড়ে গিয়েছে বহু গাছ।
কত গতিতে উপকূলের দিকে ধেয়ে এসেছে মোখা
গত ৬ ঘণ্টা ধরে ২১ ঘণ্টা প্রতি ঘণ্টার গড় গতিবেগে উপকূলের দিকে এগিয়ে গিয়েছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। এই ঝড়ের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। দুপুর দুটো নাগাদ ঝড়ের ‘ছোখ’ বা কেন্দ্রস্থল ভূ-ভাগে প্রবেশ করবে বলে জানা গিয়েছে।
কোথায় আছে মোখার ‘চোখ’
সকাল সাড়ে ১১টার সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের ‘চোখ’ ছিল মায়ানমারের সিটওয়ে থেকে ৪০ কিমি দূরে এবং কক্সবাজার থেকে ১৭০ কিমি দূরে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু
ঘূর্ণিঝড় মোখার ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়ে দিল আইএমডি। মৌসম ভবন জানিয়েছে, কক্সবাজার এবং কিউকপিউ (মায়ানমার) এর মধ্যে দিয়ে দক্ষিণপূর্ব বাংলাদেশ এবং উত্তর মায়ানমার অতিক্রম করতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়টি।
মোখা নিয়ে আইএমডি-র সর্বশেষ আপডেট
দিল্লির মৌসম ভবন টুইট করে জানিয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ১৪ মে-এর সকাল সাড়ে আটটা (ভারতীয় সময়) উত্তর-পূর্ব এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর কেন্দ্রীভূত হয়ে অবস্থান করছিল। আজকে বাংলাদেশি সময় দুপুর আড়াইটে নাগাদ সেটি কক্সবাজার এবং কিউকপিউ (মায়ানমার) এর মধ্যে দিয়ে দক্ষিণপূর্ব বাংলাদেশ এবং উত্তর মায়ানমার অতিক্রম করতে পারে। ল্যান্ডফল প্রক্রিয়াটি শুরু হবে শীঘ্রই।
কলকাতায় কবে বৃষ্টি হবে?
ঘূর্ণিঝড় মোখা পড়শি দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে। তবে তাতে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা পাননি কলকাতাবাসী। বরং বাড়ছে গরম। দক্ষিণের কয়েক রাজ্যে তৈরি হবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। যদিও স্বস্তির খবর শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। শীঘ্রই দক্ষিণবঙ্গে শুরু হবে ঝড়বৃষ্টি। কবে নাগাদ কলকাকাতা সহ গাঙ্গেও পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি হবে? জানতে ক্লিক করুন এখানে
দুপুর দু'টো নাগাদ মোখার ল্যান্ডফল
আর কিছুক্ষণেই স্থলভাগে পুরোপুরি আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মোখার ‘চোখ’। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ভারতীয় সময় ২টো এবং বাংলাদেশি সময় দুপুর আড়াইটে নাগার ল্যান্ডফল হবে মোখার। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
মোখার তাণ্ডব চলবে কোথায়?
বাংলাদেশ আবহাওয়া দফতরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, ঘূর্ণিঝড় মোখার আসল তাণ্ডব চলবে মায়ানমারেই। তবে বাংলাদেশেও এর যথেষ্ঠ প্রভাব পড়বে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের ‘ছোখ’ বে কেন্দ্রস্থল মায়ানমারের স্থলভাগে আছড়ে পড়বে।
উপড়ে পড়েছে গাছ, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঘর
ঘূর্ণিঝড় মোখা রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের উপকূলে আছড়ে পড়তে শুরু করেছে। এর জেরে গাছ উপড়ে পড়েছে। কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মায়ানমারের সিটওয়ের মধ্যে দিয়ে ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার (১২০ মাইল) বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে।
মায়ানমারের আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ আপডেট
মায়ানমারের আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোখার সবচেয়ে ‘বাইরের ব্যান্ড’টি সকালে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলে পৌঁছেছে। বিকেল নাগাদ, ঝড়ের কেন্দ্রটি দেশের সিটওয়ে শহরের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
২১৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে মোখা
ঢাকা ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোখা ২১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এই ঝড়ের বর্তমান গতিপথের উপর ভিত্তি করে অনুমান করা হচ্ছে, মোখার ‘চোখ’ সহ ঝড়ের বেশিরভাগই উত্তর মায়ানমার এবং বাংলাদেশের কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানবে।
আগামী কয়েকদিন কেমন থাকবে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া?
পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে শক্তি বাড়িয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মোখা। তবে এর জেরে দক্ষিণবঙ্গে কেমন প্রভাব পড়বে? আজ কি কোথাও বৃষ্টি হবে নাকি গরমণ থাকবে? এখানে ক্লিক করে জেনে নিন আবহাওয়ার পূর্বাভাস।
টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ঝোড়ো হাওয়া ও ব্যাপক বৃষ্টি
আজ দুপুর ১২টার পর থেকেই দক্ষিণপূর্ব বাংলাদেশের স্থলভাগের দক্ষিণ বিন্দু টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ঝোড়ো হাওয়া ও ব্যাপক বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
মোখার কারণে দিঘায় জারি সতর্কতা
আজ এবং আগামিকাল সমুদ্রস্নানে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছি দিঘায়। ছুটিরদিন বা সপ্তাহান্তে সুযোগ পেলেই অনেকে দিঘা চলে যান। তবে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে দু'দিন পর্যটকরা জলে নামতে পারবেন না।
সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী কোথায় রয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা?
আজ ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় মোখা। আগামী কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র স্থলভাগে প্রবেশ করবে বলে জানা গিয়েছে।
গঙ্গাসাগরের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট
সকাল থেকেই গঙ্গাসাগরের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া। সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। যে কারণে সকাল থেকেই গঙ্গাসাগরের ‘সি ব্রিজ’ চত্বরে যে সমস্ত দোকানগুলি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকায় চলছে মাইকিং।
এপার বাংলাতেও সতর্ক প্রশাসন
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে সকাল থেকেই ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা এলাকার বিভিন্ন নদী বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় মাইকিং করে প্রচার করতে দেখা গেল এনডিআরএফ-এর বিশেষ দলের সদস্যরা। স্থানীয় মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে গ্রামবাসীদেরকে সচেতন করা হয়, যাতে কোনও ভাবে গভীর সমুদ্রে তারা মাছ ধরতে না যান। পাশাপাশি নারায়ণপুরে একটি সচেতনতামূলক ক্যাম্প চালু করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে আজ থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বিকালের পর বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে সকাল থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার ‘চোখে’র আয়তন কত?
‘অ্যানিমেটেড ইনহ্যান্সড ইনফ্রারেড’ স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার ‘চোখে’র আয়তন প্রায় ১৯ ন্যানোমিটার এবং কেন্দ্রের তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সতর্ক পুলিশ
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অপারেশনস কন্ট্রোল রুম থেকে নজর রাখা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতির ওপর। ঝড়ের তাণ্ডবের জেরে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে না পড়ে, সেদিকে নজর রয়েছে পুলিশের। এদিকে কক্সবাজারে যাতে রোহিঙ্গারা ঘূর্ণিঝড়ের ফাঁকে শিবির ছেড়ে বাইরে না যেতে পারে, সেদিকেও রয়েছে পুলিশের কড়া নজর।
ভূমিধসের আশঙ্কা বাংলাদেশ এবং উত্তরপূর্ব ভারতে
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশালে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতেও আজ বৃষ্টি হতে পারে। এর জেরে পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
উত্তাল হয়েছে সমুদ্র
মোখার প্রভাবে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছাসে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের সমুদ্র উত্তাল আকার ধারণ করেছে।
কতক্ষণে উপকূল অতিক্রম করবে মোখা?
ঘণ্টায় প্রায় ২২ থেকে ২৪ কিলোমিটার গতিতে এগোচ্ছে মোখা। এই আবহে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করে পুরোপুরি স্থলভাগে ঢুকতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা নিতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
‘ক্যাটাগরি ৫ হারিকেন’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে মোখাকে
মার্কিন যৌথ টাইফুন সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, একটা সময়ে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ২৫৯ প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড় বয়ে যাচ্ছিল সাগরে। এই ঘূর্ণিঝড়রকে ‘ক্যাটাগরি ৫ হারিকেন’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
৪ লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে
বাংলাদেশ উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রবিন্দু। এই আবহে ৪ লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করে গিয়েছে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায়। থেমে থেমে বৃষ্টি জারি রয়েছে এই সব এলাকায়।
ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে বড় আপডেট সংবাদসংস্থা এএফপি-র
আরও শক্তি বাড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এটি সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে আভাস মিলল আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা এএফপি-র রিপোর্টে। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে
বেলা গড়াতেই বৃষ্টি বাড়ছে
ঘূর্ণিঝড়ের মোখার জেরে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এবং চট্টগ্রাম ও বান্দরবানের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি জারি রয়েছে আজ সকাল থেকেই। যত বেলা গড়াচ্ছে, বৃষ্টি ততই বাড়ছে।
সুন্দরবনের আবহাওয়া কেমন?
এদিকে যে সুন্দরবন বারংবার ঘূর্ণিঝড়ের জেরে তছনছ হয়, আজ মোখার কোনও প্রভাব সেখানে নেই। রোদ ঝলমলে আকাশ সুন্দরবনে। আকাশে মাঝে মাঝে ধূসর মেঘের আনাগোনা রয়েছে। হালকা বৃষ্টি হলেও হতে পারে।
বরগুনা উপকূলে শুরু হয়েছে বৃষ্টি
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে আজ সকাল থেকে বরগুনা উপকূলে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এখানে ৮ নং মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। এই আবহে সাগর থেকে মাছ ধরার সব ট্রলার নিরাপদে উপকূলে ফিরে এসেছে গতরাতের মধ্যেই।
আরও গতি বেড়ে গেল মোখার
সুপার সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার আভাস দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রবিন্দু প্রবেশের আগেই এটি ২৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টার বেগে ঝোড়ো বাতাস বইয়ে দিচ্ছে। এই আবহে ল্যান্ডফলের পর কী তাণ্ডব হবে তা নিয়ে আতঙ্কিত সবাই।
কখন স্থলভাগে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মোখার ‘চোখ’?
ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় মোখার সামনের অংশ প্রবেশ করেছে স্থলভাগে। এরপর ধীরে ধীরে স্থলভাগে তাণ্ডব চালাতে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়ের ‘চোখ’ বা কেন্দ্রবিন্দু। ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রবিন্দু থেকে ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝড়ের গতিবেগ গড়ে ১৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টার কাছাকাছি থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এরপর আর কিছুক্ষণে তা ল্যান্ডফল করবে উপকূলীয় অঞ্চলে। মোখার ল্যান্ডফলের সময় জানতে ক্লিক করুন এখানে
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে ভারতেও
উত্তরপূর্ব ভারত এবং দক্ষিণবঙ্গে প্রভাব পড়বে ঘূর্ণিঝড় মোখার। বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হবে। নামতে পারে ধস। পূর্বাভাস জানতে ক্লিক করুন এখানে
২১০ কিমিরও বেশি বেগে ঝড়
ঘূর্ণিঝড় মোখার জেরে দমকা হাওয়া ঘণ্টায় ২১৫ কিমি ছুঁতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস। এই গতি ২২০ কিমি ছুঁলেই ‘সুপার সাইক্লোন’ আখ্যা পেত মোখা।
কতটা তাণ্ডব ঘটাবে মোখা?
আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রবিন্দু থেকে ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝড়ের গতিবেগ গড়ে ১৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টার কাছাকাছি থাকবে। তাই সুপার সাইক্লোন না হলেও অনেক ক্ষয়ক্ষতি করতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়।
আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যাবে মোখা
ঘূর্ণিঝড়টি আজ আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এরপর আজ দুপুর ১২টা নাগাদ বা বিকেলে পুরোপুরি স্থলভাগে প্রবেশ করবে। মোখার ‘ছোখ’ বা কেন্দ্রবিন্দু আজ দুপুরেই স্থলভাগে প্রবেশ করবে বলে জানা গিয়েছে। ল্যান্ডফলের সময় ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ১৮০ থেকে ১৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে। দমকা হাওয়ার বেগ পৌঁছে যেতে পারে ২১০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়।
কোথায় অবস্থান ঘূর্ণিঝড় মোখার?
ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার দূরত্ব ছিল ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে। কক্সবাজার থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিম এবং মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে ছিল ঘূর্ণিঝড়টি।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর পড়বে কোনও প্রভাব?
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে কোনও প্রভাব পড়বে না ঝড়ের। শুধুমাত্র উপকূলবর্তী তিন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ খুব সামান্য বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গের বাকি কোনও জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। পশ্চিমবঙ্গের উপকূল থেকে মোখা অনেক দূরে আছে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাব পড়বে না এই রাজ্যে।
আন্দামান উপকূলে জারি লাল সতর্কতা
উত্তাল থাকবে উত্তর আন্দামান সাগর। ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার সকাল পর্যন্ত সমুদ্র অত্যন্ত উত্তাল থাকবে। জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।
শুরু ঝড়বৃষ্টি, মোখার সামনের ভাগ প্রবেশ করেছে স্থলভাগে
ঘূর্ণিঝড় মোখার সামনের ভাগ ইতিমধ্যেই স্থলভাগে প্রবেশ করেছে। মোখার প্রভাবে কক্সবাজার উপকূলে ইতিমধ্যেই ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
কখন বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড় মোখা?
সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা নাগাদ ‘মোখা’র কেন্দ্রভাগ কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আড়াই লাখ সদস্য মোতায়েন
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আড়াই লাখ সদস্য উপকূলীয় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে মোখা পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে।
চাঁদপুর থেকে শরিয়তপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে চাঁদপুর থেকে শরিয়তপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সমস্যায় চট্টগ্রাম ও কুমিল্লাবাসীরা
গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার জেরে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা অঞ্চলের বাসিন্দাদের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে শুক্রবার রাত ১১টা থেকেই কক্সবাজারের এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল।
হাওয়ার গতিবেগ বাড়তে শুরু করেছে
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে দমকা হাওয়ার গতিবেগ বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল রাত থেকেই দ্বীপের বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও পড়তে চলেছে মোখার প্রভাব
এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ওপরও প্রভাব পড়তে পারে মোখার। সেই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বননের নির্দেশ দিলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে যাতে রোহিঙ্গারা শিবিরের বাইরে না যেতে পারেন, তার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তৈরি বাংলাদেশের নৌবাহিনী
এদিকে যে কোনওরকম পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রেখেছে বাংলাদেশের নৌবাহিনী। মোট ২১ টি জাহাজ, মেরিটাইম প্যাট্রোলিং এয়ারক্রাফট, হেলিকপ্টারকে তৈরি রাখা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে।
ভোলায় ৭৪৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র
বাংলাদেশের ভোলা জেলার বিভিন্ন জায়গায় ৭৪৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ভোলায় আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।
কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিনে গতরাতেই প্রভাব শুরু হয়েছে মোখার
সেন্ট মার্টিনে আবহাওয়া কিছুটা খারাপ হতে শুরু করেছে। গতরাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল সেখানে। আজ সকালে সেই বৃষ্টির পরিমাণ এবং ঝোড়ো হাওয়ার বেগ বেড়েছে। মধ্যরাতে বৃষ্টি বেড়েছে কক্সবাজার শহরেও।
উপকূলে প্রবল বেগে হাওয়া
সকাল ৯টা নাগাদ স্থলভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড়ের সামনের ভাগ। সেই সময় উপকূলে প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। এরপর ঘূর্ণিঝড়ের ‘চোখ’ স্থলভাগে প্রবেশ করলে হাওয়ার বেগ ২০০ কিমি পার করে যেতে পারে।
বৃষ্টি বেড়েছে সকাল থেকে
আজ সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে কক্সবাজার এবং তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকাগুলিতে। কক্সবাজার ও টেকনাফে জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে।
কক্সবাজারে উপস্থিতি রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও
মোখার জন্য বাংলাদেশে ১৫০০টিরও বেশি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের কক্সবাজারে ৪০টি অ্যাম্বুলেন্স এবং ৩৩টি মোবাইল মেডিক্যাস টিমকে স্ট্যান্ডবাইতে রেখেছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে সরানো হয়েছে কয়েক হাজার মানুষকে
এদিকে এই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশ এবং মায়ানমার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মোখা উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগেই অবশ্য মায়ানমার ও বাংলাদেশের উপকূল থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উভয় দেশই আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
ঢাকায় কী প্রভাব পড়বে ঘূর্ণিঝড় মোখার?
ঘূর্ণিঝড় মোখার জেরে ঢাকায় দুপুর থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও কয়েক ঘণ্টার জন্য দমকা হাওয়া বয়ে যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর।
বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়বে উপকূলে, হবে অতি ভারী বৃষ্টি
ঘূর্ণিঝড়ের জেরে আট থেকে ১২ ফুট উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়বে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের উপকূলে। কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে নামতে পারে ভূমিধস। এদিকে উত্তর-পূর্ব ভারত লাগোয়া সিলেটেও অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেখানে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার জেরে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, ফেনি, নোয়াখালি, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা সহ আরও বেশ কিছু জেলায় ৮ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।
গতকাল মধ্যরাতে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৪৯০ কিমি দূরে ছিল মোখা
গত মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম শহর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছিল।
গতরাত থেকে মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশে
বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে গতকাল রাত থেকেই। বিশেষত চট্টগ্রাম এবং বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে বেশ গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইছে, সঙ্গে বৃষ্টিও হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থানের সর্বশেষ আপডেট
গতরাতে ঘণ্টায় ২২ কিমি বেগে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। আপাতত এই ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পোর্টব্লেয়ারের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে ৭২০ কিমি দূরে অবস্থিত। এই ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের কক্সবাজারের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ৪০০ কিমি এবং মায়ানমারের সিটওয়ের থেকে ৩১০ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।
কোনদিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোখা?
আগামী কয়েক ঘণ্টায় উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে মোখা। তারপর আজ দুপুর নাগাদ কক্সবাজার ও মায়ানমারের কেয়াকফিউয়ের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ এবং উত্তর মায়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এরপর এই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি মায়ানমারের সিটওয় শহরের নিকটবর্তী এলাকা দিয়ে এগিয়ে যাবে। সেইসময় ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ১৯০ কিমি বেগে ঝড় হবে। কখনও কখনও দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ২১০ কিমি ছুঁয়ে ফেলতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র ল্যান্ডফল কখন?
আজ দুপুর নাগাদ স্থল ভাে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’, তখন সর্বোচ্চ ২১০ কিলোমিটার বেগে তাণ্ডব চালাতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের মতো জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।