এড়ানো গেল না প্রাণহানি। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’-র দাপটে তামিলনাড়ুতে মৃত্যু হল তিনজনের। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। একথা জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর অতিরিক্ত চিফ সেক্রেটারি অতুল্য মিশ্র। তবে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চেন্নাই এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
তামিলনাড়ুতে ইতিমধ্যে ঝড়ের দাপট কমেছে। কয়েকটি অংশে অবশ্য ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মৌসম ভবনের সাম্প্রতিক বুলেটিনে জানানো হয়েছে, শক্তি হারিয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়েছে ‘নিভার’। আপাতত সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। পরবর্তী ছ'ঘণ্টায় তা আরও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। বৃহ্স্পতিবার রাতের মধ্যে তা নিম্নচাপ হয়ে যাবে।
তামিলনাড়ুর অতিরিক্ত চিফ সেক্রেটারিকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সেই রাজ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন তিনজন। ১০১ টি কুঁড়েঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে যাওয়া ৩৮০ টি গাছ ইতিমধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা পুরোপুরি ফিরে এসেছে। চেন্নাই-সহ তামিলনাড়ুর একাধিক জায়গায় জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। কোথাও কোথাও অটো বা গাড়ির উপরে ভেঙে পড়েছে গাছের ডাল।
একই অবস্থা পুদুচেরিতেও। বৃহস্পতিবার পুদুচেরি এবং শহরতলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপড়ে গিয়েছে গাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। নীচু জায়গাগুলির অধিকাংশ জলের তলায় চলে গিয়েছে। তবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কোথাও এখনও প্রাণহানির খবর মেলেনি। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। তিনি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পুদুচেরিতে ২৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। অধিকাংশ আবাসনে জল জমে গিয়েছে। ফলে বাড়িতেই আটকে পড়েছেন মানুষজন।
এদিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দুর্বল ‘নিভার’-এর প্রভাবে ব্যাঙ্গালুরু এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হবে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃহ্স্পতিবার ব্যাঙ্গালুরু শহরাঞ্চল এবং গ্রামীণ, কোলার, কোলার, চিক্কাবল্লাপুর, তুমাকুরু, মান্ড্য এবং রামানাগাড়া জেলায় মাঝারি বর্ষণ হতে পারে। সেখানে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।