প্রবল বেগে আছড়ে পড়েছিল অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’। তবে আপাতত প্রাণহানির কোনও খবর মেলেনি। ব্যাহত হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। উপড়ে গিয়েছে অসংখ্য বিদ্যুতের খুঁটি এবং গাছ। বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। এখনও তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে।
মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১০ টা ৩০ মিনিট নাগাদ ‘নিভার’-এর স্থলভূমিতে প্রবেশের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তারপর ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে থাকে। রাত ২ টো ৩০ মিনিট নাগাদ সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়। আপাতত দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘নিভার’। ঝড়ের গতিবেগ সামান্য কমে হয়েছে ঘণ্টায় ১১০-১২০ কিলোমিটার। বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে তা আরও শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ২ টো ৩০ মিনিট পর্যন্ত কুড্ডালোরে ২৪৬ মিলিমিটার, পুদুচেরিতে ২৩৭ মিলিমিটার, চেন্নাইয়ে ৮৩ মিলিমিটার, বৃষ্টিপাত হয়েছে। তিরুভাল্লুর জেলায় আরবি নদীতে বন্যার সতর্কতা জারি করেছে তামিলনাড়ু রাজ্য বিপর্ষয় মোকাবিলা পর্ষদ।
অন্যদিকে চেন্নাই-সহ তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির উপকূলবর্তী এলাকায় বিভিন্ন প্রান্তে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছে, শহরে ২৬৭ টির মতো গাছ পড়ে গিয়েছে। তার মধ্যে ২২৩ টি গাছ সরানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ বোঝা যায়নি।
তবে প্রাণহানির কোনও খবর না পাওয়া যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর রাজস্বমন্ত্রী আর বি উধ্যায়াকুমার। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের কয়েকটি প্রান্ত থেকে দেওয়াল ভেঙে পড়ার খবর মিলেছে। তাঁর কথায়, ‘বৃষ্টির কারণে কোনও প্রাণহানি হয়নি। মানুষ আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন।’