ঘূর্ণিঝড় শাহিনে পরিণত হয়েছে গুলাব। আর এর জেরে ভারী বৃষ্টিপাত হতে চলেছে পশ্চিম ভারতের গুজরাত উপকূলে। গুলাবের লেজ ধরে উৎপত্তি হচ্ছে নতুন এই ঘূর্ণিঝড়ের। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম শাহিন। এর প্রভাব পড়বে মূলত পশ্চিম উপকূলে। তবে এর জেরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ভাসতে চলেছে উত্তরবঙ্গ, সিকিম, বিহার, ঝাড়খণ্ডও।
শুক্রবার আরব সাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড় শাহিন। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গুলাব অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল ধরে স্থলভাগ হয়ে তেলাঙ্গানা ও মহারাষ্ট্রের উপর দিয়ে গিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। দক্ষিণ গুজরাত উপকূলে অবস্থান করছে সেই নিম্নচাপ। আজই সেই নিম্নচাপ উত্তর আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
রবিবার স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর থেকেই শক্তি হারাতে শুরু করেছিল ঘূর্ণিঝড় গুলাব। মঙ্গলবার আরও শক্তি ক্ষয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে তেলাঙ্গানা, দক্ষিণ ছত্তিশগড় ও বিদর্ভ অঞ্চলের উপর দিয়ে আরব সাগরে প্রবেশ করে ফের একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
চলতি বছরে আরব সাগরে তৈরি হওয়া এটি দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়। এই বছরের মাঝামাঝি ঘূর্ণিঝড়ি তাউটে। এর দাপটে বিপর্যস্ত হয়েছিল দেশের পশ্চিম উপকূলের কোঙ্কন ও গুজরাত বিস্তীর্ণ এলাকা। এবার আসছে শাহিন। দুর্যোগের আশঙ্কায় ভারত মহাসাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। লাল সতর্কতা জারি হয়েছে সৌরাষ্ট্র, কোঙ্কন, উত্তর গুজরাত ও কচ্ছ এলাকায়।
তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ হবে পাকিস্তান। যা মারকান উপকূল থেকে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। ফলে ভারতীয় উপকূলে এর কোনও প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না-বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। তবে অতি বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত হতে পারে সৌরাষ্ট্র ও গুজরাতের কচ্ছের জনজীবন। এছাড়াও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দমন, দিউ, দাদরা ও নগর হাভেলিতে। অর্থাৎ বেশি প্রভাবিত হতে পারে উত্তর কোঙ্কন।