বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। আর তার জেরে প্লাবিত দেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলি। অনেক জায়গায় বাঁধ টপকে জল প্রবেশ করেছে। সুন্দরবনের দুবলার চর–সহ জেলেপল্লিগুলির বেশিরভাগ এলাকা ডুবে গিয়েছে। সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, ইয়াসে বাংলাদেশে অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশের পটুয়াখালির ২০টি গ্রাম। এই অঞ্চলের অধিকাংশ গ্রামই জলের তলায় চলে গিয়েছে। নদীর জল উপচে গিয়েই এই বিপত্তি ঘটেছে।
জানা যাচ্ছে, ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলি থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌকা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরে জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা। জলোচ্ছ্বাস এবং জোয়ারের জলে সুন্দরবন থেকে শরণখোলা উপজেলার বালেশ্বর নদে জোয়ারের জলে ভেসে এসেছে মৃত হরিণ। রাত ৮টা পর্যন্ত সেখানে মোট ৩টি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
উপকূল জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এলাকার নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলগুলিতে জোয়ারের জল প্রবেশ করেছে। অনেক জায়গায় বেড়িবাঁধ টপকে ওই জল প্রবেশ করেছে। খুলনার ১৮টি স্থানে নদীবাঁধ ভেঙেছে। নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট জল বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। নদীর জল ঢুকে আসে লোকালয়ে। নৌকাডুবিরও ঘটনা ঘটে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে আগেভাগেই নৌ–চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ।