অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল ‘ইয়াস’, ওড়িশায় তাণ্ডবের আশঙ্কা
Updated: 25 May 2021, 10:08 PM ISTস্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় ‘ইয়াস’-এর বেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮৫ কিমি থাকতে পারে।
স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় ‘ইয়াস’-এর বেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮৫ কিমি থাকতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের উপকূল থেকে অনেকটা দূরে সরে গিয়েছে। তবে ওড়িশার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি। বরং ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে 'ইয়াস'। যা আগামিকাল (বুধবার) দুপুরে পারাদ্বীপ এবং সাগরের মাঝখানে ধামরার উত্তরে এবং বালাসোরের দক্ষিণে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। সেইসময় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার বেগ কখনও কখনও ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে দাপট খানিকটা কম থাকবে। পূর্ব মেদিনীপুরে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে। সেখানে ঘণ্টায় ঝড় বইতে পারে ৯০-১২০ কিলোমিটার বেগে। কখনও কখনও দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। এছাড়াও 'ইয়াস'-এর প্রভাবে দুই পরগনা, কলকাতা, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি ও ঝড় হবে। তবে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতায় আমফানের মতো তাণ্ডব চালাবে না ‘ইয়াস’।
আইএমডির ডিজি এম মহাপাত্র জানালেন, অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় পরিণত হয়েছে ইয়াস।
'ইয়াস' আতঙ্কের মধ্যেই হালিশহর এবং চুঁচুড়ায় তাণ্ডব চালাল ছোটো 'টর্নেডো'। দেড় মিনিটের ঝড়ে লন্ডভণ্ড হয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরের বালিভাড়া গ্রাম। একই অবস্থা চুঁচুড়ার পান্ডুয়ারও।
বুধবার আছড়ে পড়তে চলেছে ‘ইয়াস’। আবহাওযা অফিস জানিয়েছে, ওড়িশার তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে 'ইয়াস'-এর দাপট অনেকটাই কম থাকছে। পূর্ব মেদিনীপুরে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে। দাপট কম থাকলেও ‘ইয়াস’-এর প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হবে। হাওয়া অফিসের আধিকারিক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, কোথায় কত বৃষ্টি হবে। বিস্তারিত দেখুন ভিডিয়োয়
পশ্চিমবঙ্গের উপকূল থেকে অনেকটা দূরে সরে গিয়েছে। তবে ওড়িশার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি। বরং ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে 'ইয়াস'। যা আগামিকাল (বুধবার) দুপুরে পারাদ্বীপ এবং সাগরের মাঝখানে ধামরার উত্তরে এবং বালাসোরের দক্ষিণে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। সেইসময় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার বেগ কখনও কখনও ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে দাপট খানিকটা কম থাকবে। পূর্ব মেদিনীপুরে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে। সেখানে ঘণ্টায় ঝড় বইতে পারে ৯০-১২০ কিলোমিটার বেগে। কখনও কখনও দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। এছাড়াও 'ইয়াস'-এর প্রভাবে দুই পরগনা, কলকাতা, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি ও ঝড় হবে। তবে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতায় আমফানের মতো তাণ্ডব চালাবে না ‘ইয়াস’।
কিছুটা কমল 'ইয়াস'-এর স্থলভূমির দিকে এগিয়ে আসার গতি। তা অবশ্য খুব একটা কম নয়। আপাতত (দুপুর ২ টো ৩০ মিনিট) সেটি পারাদ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বে ২০০ কিলোমিটার, বালাসোরের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ২৯০ কিলোমিটার, দিঘার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ২৯০ কিলোমিটার এবং সাগরের দক্ষিণ দিকে ২৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। যা ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে আগামিকাল (বুধবার) ভোরের দিকে উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে পৌঁছাবে। তারপর দুপুরে পারাদ্বীপ এবং সাগরের মাঝখানে ধামরার উত্তরে এবং বালাসোরের দক্ষিণে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে।
বুধবার কোন জেলায় কত বেগে ঝড় বইবে, তা দেখে নিন একনজরে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : হালিশহরে ১.৫ মিনিটের টর্নেডো হয়েছে। ৪০ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একজন আহত হয়েছেন। চুঁচুড়ায় একটা ঘটনা হয়েছে। পান্ডুয়ায় টর্নেডো হয়েছে। ৪০ টির মতো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইয়াস মোকাবিলায় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে রাজ্যপাল ধনখড় – আরও পড়ুন।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর : বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সাধারণত জোয়ারের থেকে ২-৪ মিটারের বেশি জলোচ্ছ্বাস হবে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১০০, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৪৫ কিমি, - কোন জেলায় কত গতিবেগে ঝড় হবে? – আরও পড়ুন।
নবান্নের কন্ট্রোল রুমে পাশাপাশি বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁরা ‘ইয়াস’ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছেন।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরিস্থিতি নিযে আলিপুর আবহাওয়া দফতরে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেখানেও রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে আনলেন। জানালেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ইয়াস চিন্তা বাড়িয়েছে। সেইসঙ্গে রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার সমস্যা আছে।
‘ইয়াস’ আছড়ে পড়ার আগে মুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধে ফাটল। তার জেরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সাগরের শিলপাড়া গ্রামে। সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরার নির্দেশ শুরু হয়েছে নদীবাঁধ মেরামতির কাজ। সেচ দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি কাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রা।
নবান্নে পৌঁছে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
নবান্নে যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। নবান্নের কন্ট্রোল রুমে যাবেন তিনি। সেখানে ইতিমধ্যে আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর : বাংলায় ঝড়ের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে পূর্ব মেদিনীপুরে। সেখানে ঘণ্টায় ৯০-১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইবে। কখন কখনও দমকা হাওয়ারর বেগ ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে।
ভয়ের কারণ নেই, কালবৈশাখির মতো হাওয়া বইবে কলকাতায় – আরও পড়ুন
আলিপুর আবহাওয়া দফতর : কলকাতায় আমফানের মতো একেবারেই হবে না। ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
‘দরকার হলেই নামানো হবে সেনা’, আমফানের ভুল দু'বার করতে নারাজ মমতা – আরও পড়ুন
মুখ্যমন্ত্রী় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে ভারতীয় সেনা নামানো হবে। সবাইকেই নামামো হবে। সবাইকে তৈরি রাখা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : আমফান থেকে আমরা অনেক শিক্ষা নিয়েছি। উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের জন্য সবথেকে কষ্ট হয়। প্রতি বছর এরকম হয়। আজ ও কাল পাহারা দেব।
মুখ্যমন্ত্রী় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : ন'লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে আমরা নবান্নে থাকব। ব্লকে ব্লকে খোলা হবে কন্ট্রোল রুম। জেলাশাসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আমাদের প্রায় ৭৪,০০০ অফিসার ও কর্মচারী প্রত্যক্ষভাবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার কাজে যুক্ত আছে। এছাড়াও দু'লাখ পুলিশ-সহ বিভিন্ন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মী কাজ করছেন।
৬টি জোনে ভাগ করে ইয়াসের মোকাবিলা করবে কলকাতা পুরনিগম – আরও পড়ুন।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরে মালুম হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর দাপট। উত্তাল হয়ে উঠেছে দিঘার সমুদ্র। বাড়তে থাকে জলোচ্ছ্বাস। তারইমধ্যে জোয়ারের প্রভাবে ফুলে-ফেঁপে ওঠে দিঘার সমুদ্র। দুইয়ের প্রভাবে সকাল থেকেই বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে। রামনগর ১ নম্বর ব্লকের জামড়া, তাজপুরের মতো এলাকায় জল ঢুকে গিয়েছে। বিস্তারিত দেখুন ভিডিয়োয় -
জরুরি ভিত্তিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করবে দিঘা এবং শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। সেখানে মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেকেই উপকূল এলাকা থেকে সরতে চাইছিলেন না। তাঁদের সরানো যাচ্ছে না। তাই ঝড়ের আগেই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হয়েছে। কয়েকটি বাঁধে সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
আরও গতি বাড়ল 'ইয়াস'-এর। মৌসম ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ছ'ঘণ্টায় ১৭ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হয়েছে। তার ফলে আপাতত সেটি পারাদ্বীপের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ২৮০ কিলোমিটার, বালাসোরের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৩৮০ কিলোমিটার, দিঘার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ৩৭০ কিলোমিটার এবং সাগরের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ৩৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। তবে তারইমধ্যে বাংলা থেকে কিছুটা দূরে সরে গিয়েছে ‘ইয়াস’।
কয়েকটি গ্রামে ইতিমধ্যে জল ঢুকতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরে মালুম হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর দাপট। উত্তাল হয়ে উঠেছে দিঘার সমুদ্র। বাড়তে থাকে জলোচ্ছ্বাস। তারইমধ্যে জোয়ারের প্রভাবে ফুলে-ফেঁপে ওঠে দিঘার সমুদ্র। একেবারে ইয়াসের প্রভাব, অন্যদিকে ভরা জোয়ার - দুইয়ের দাপটে সকাল থেকেই রীতিমতো ফুলেফেঁপে ওঠে দিঘার সমুদ্র। সকাল থেকেই বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে। রামনগর ১ নম্বর ব্লকের জামড়া, তাজপুরের মতো এলাকায় জল ঢুকে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রাস্তা কেটে চলছে জল নামানোর কাজ। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিপদের আশঙ্কায় সোমবার রাতেই স্থানীয়দের একাংশকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবারও সরানো হচ্ছে।
পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, সাগর, গোসাবায় বাঁধ ভেঙে একাধিক গ্রামের ভিতর জল ঢুকে পড়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকায় নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে।
ওড়িশা : ভুবনেশ্বর, বালাসোর, চাঁদিপুর-সহ বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া।
মৌসম ভবনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, শেষ ছ'ঘণ্টায় (ভোর ৫ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) প্রায় ১০ কিলোমিটার বেগে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে 'ইয়াস'। আপাতত সেটি পারাদ্বীপের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৩২০ কিলোমিটার, বালাসোরের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৪৩০ কিলোমিটার, দিঘার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ৪২০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ৪৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
Cyclone Yaas: ধেয়ে আসছে ‘ইয়াস’, রাজ্যের কোন জেলায় কত বেগে ঝড় হবে? দেখে নিন – আরও পড়ুন।
‘ইয়াস’-র আগে দিঘায় চলছে মাইকিং।
‘ইয়াস’-র আগে দিঘায় বাড়ল জলোচ্ছ্বাস, পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টি, বইছে ঝোড়ো হাওয়া – আরও পড়ুন
ইয়াসের সময় কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, কী এড়িয়ে চলতে হবে জেনে নিন – আরও পড়ুন
সম্ভবত আগামী বুধবার বাংলায় আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। তার আগেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হল বৃষ্টি। সোমবার বিকেল থেকেই দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। বিস্তারিত দেখুন ভিডিয়োয়
ওড়িশা : চাঁদিপুরের কাছে শুরু বৃষ্টি। সঙ্গে বাড়ছে সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস।
বুধবার ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি অংশে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। পুরুলিয়া, বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতার বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং দার্জিলিঙে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। তবে মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এছাড়া হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনার কয়েকটি এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
মৌসম ভবনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, শেষ ছ'ঘণ্টায় (রাত ১১ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) প্রায় ১০ কিলোমিটার বেগে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে 'ইয়াস'। যা আগের থেকে ঢের বেশি গতি। আপাতত সেটি পারাদ্বীপের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৩৯০ কিলোমিটার, বালাসোরের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৪৯০ কিলোমিটার, দিঘার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ৪৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। যা ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে আগামিকাল (বুধবার) ভোরের দিকে উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে পৌঁছাবে। তারপর দুপুরে পারাদ্বীপ এবং সাগরের মাঝখানে বালাসোরের কাছাকাছি স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে।
দ্রুতগতিতে স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে 'ইয়াস'। সেইসঙ্গে ক্রমশ বাড়াচ্ছে শক্তি। সোমবার রাতের মধ্যেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে সেটি। যা পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।