তামিল নাডু উপকূলের মাত্র ৪০ কিমি দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুরেভি। তার জেরে কেরালার চার জেলায় লাল সতর্কতা জারি করল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি)।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮.৩০ নাগাদ প্রকাশিত আবহাওয়া বার্তায় আইএমডি জানিয়েছে, ‘৩ ডিসেম্বর সকাল ৫.৩০ মিনিটে কেরালার আলাপুঝা জেলার মান্নারের ৪০ কিমি পূর্বে, পামবানের থেকে ১২০কিমি পূর্ব-দক্ষিণ পূর্বে এবং কন্যাকুমারীর থেকে ৩২০ কিমি পূর্ব-উত্তর পূর্বে শ্রী লঙ্কার উপরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় বুরেভি। এ দিন দুপুরের আগে গতি বৃদ্ধি করে পামবানের কাছাকাছি মান্নার প্রণালি অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড়। রাতে তা পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিম দিকে ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিমি গতিবেগে পামবান ও কন্যাকুমারীর মধ্যবর্তী তামিল নাডু সৈকতে আছড়ে পড়বে। তার পর তা প্রবেশ করবে কেরালা উপকূলে।’
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে কেরালায় ক্ষয়ক্ষতি রোধ করতে কমপক্ষে ৮টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল সক্রিয় রয়েছে। এ ছাড়া উদ্ধার ও ত্রাণকাজে নিয়োগ করা হয়েছে বায়ুসেনা ও নৌ সেনা। বুধবার এই তথ্য জানিয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বুরেভি আছড়ে পড়ার আগে তামিল নাডু, কেরালা ও পুদুচেরিতে মোট ২৬টি ত্রাণ পরিষেবা দল নিয়োগ করা হয়েছে। দুর্যোগের আশঙ্কায় ১৭৫টি পরিবারের প্রায় ৭০০ সদস্যকে আশ্রয় শিবিরে পাঠানো হয়েছে। মোট শিবিরের সংখ্যা আপাতত ২,৪৮৯।
এ দিন সকালে কেরালার তিরুবনন্তপুরম, কোল্লম, পাঠনমথিট্টা ও আলাপুঝা জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
গত বুধবার ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তামিল নাডু ও কেরালার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁদের কেন্দ্রের তরফে সব রকম সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিজয়ন।