ফের ঘুরল তাঁর ভাগ্যচক্র। জাতীয় সংস্থা আইন নির্ধারক ট্রাব্যুনালের (NCLAT) নির্দেশে টাটা সন্স সংস্থার চেয়ারম্যান পদ ফিরে পেলেন সাইরাস মিস্ত্রি। একই সঙ্গে ওই পদে এন চন্দ্রার নিয়োগ অবৈধ, জানাল ট্রাইব্যুনাল।
তিন বছর আগে টাটা সন্স-এর চেয়ারম্যান পদ থেকে আচমকা সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সাইরাস মিস্ত্রিকে। বুধবার ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্যের বেঞ্চ টাটা সন্স-এর ওই সিদ্ধান্তের জন্য রতন টাটার ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে তা নিগ্রহের সঙ্গে তুলনা করে নয়া চেয়ারম্যান নিয়োগের সিদ্ধান্ত ‘অবৈধ’ বলে অভিহিত করেছে।
এ দিন টাটা সংস্থাকে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন জানানোর জন্য চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এই রায়কে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টেও চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন বলে জানিয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, টাটা সন্স সংস্থার অধিকাংশ শেয়ার (১৮.৪%) রয়েছে মিস্ত্রি পরিবারের মালিকানায়।
টাটা সন্স-এর বিরুদ্ধে অভিযোগে সাইরাস জানিয়েছিলেন, কোম্পানি আইন না মেনে তাঁকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হয়। তা ছাড়া, সংস্থার অন্দরে চূড়ান্ত অব্যবস্থার কথাও তিনি উল্লেখ করেন অভিযোগপত্রে।
২০১৩ সালে টাটা সন্স সংস্থার চেয়ারম্যান পদ থেকে রতন টাটা অবসর নিলে তাঁর ইচ্ছেতেই ওই পদে নিযুক্ত হন সাইরাস মিস্ত্রি। কিন্তু ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে সাইরাসের অপসারণের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনালে (NCLT) অভিযোগ দায়ের করেছিল সাইরাস ইনভেস্টমেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড ও স্টার্লিং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন। কিন্তু দু’টি অভিযোগই খারিজ করে দেয় ট্রাইব্যুনাল। নাকচ হয়ে যায় রতন টাটা ও সংস্থার বোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই NCLAT-তে আবেদন জানান সাইরাস মিস্ত্রি।