কেন্দ্রীয় সরকার ৪ শতাংশ করে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে উপকৃত হবেন প্রায় ৪৮ লক্ষ সরকারি কর্মচারী ও ৬৫ লক্ষ অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। পয়লা জানুয়ারি থেকে এই নয়া হার চালু হল। এর ফলে মার্চ মাসের মাইনে ও পেনশনের সঙ্গে এরিয়ার সহ ডিয়ারনেস অ্যালায়েন্স ও ডিয়ারনেস রিলিফ মিলবে।
এবার দেখে নেওয়া যাক কীভাবে হিসেব করা হয় মহার্ঘ ভাতা-
প্রতিবছর দুই বার ডিয়ারনেস অ্যালোয়েন্স দেওয়া হয়। মূলত মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে মাস মাইনেকে অ্যাডজাস্ট করার জন্যেই মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়। অর্থাত জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলেও যাতে জীবনযাত্রার মান না পড়ে যায়, সেই কারণেই বছরে দুই বার মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়। সব জায়গায় মুদ্রাস্ফীতির সম-প্রভাব থাকে না। এই কারণে তিনটি পৃথক শ্রেণীর জন্য ভিন্ন পরিমাণের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়- শহুরে, আধা-শহুরে ও গ্রাম।
তবে এটাও মনে রাখা দরকার, যে ডিএ-র বৃদ্ধি লাগামছাড়া নয়। বেসিক স্যালারির ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারে না ডিএ। সেই ঊর্ধ্বসীমা এসে গেলে, সেটি তখন বেসিক স্যালারির সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়।এর ফলে একধাক্কায় বেসিক স্যালারি বেড়ে যায়।
সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য তাদের কনসলিডেটেড পে থেকে পেনশন বাদ যাবে না। কনসলিডটেড পে প্যাকেজ ২৫ শতাংশ বেড়ে যাবে যখন ডিয়ারনেস রিলিফ ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়।
একঝলকে দেখে নিন সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশ মোতাবেক মহার্ঘ ভাতার হিসেব-
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য-
DA-এর শতাংশ = {(সর্বভারতীয় কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের গড় (বেস ইয়ার- ২০০১=১০০) গত বারো মাসের জন্য -১১৫.৭৬)/১১৫.৭৬} x ১০০
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় কর্মরত কর্মীদের জন্য-
DA-এর শতাংশ = {(সর্বভারতীয় কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের গড় (বেস ইয়ার- ২০০১=১০০) গত তিন মাসের জন্য -১২৬.৩৩)/১২৬.৩৩} x ১০০
মুদ্রাস্ফীতির হার হিসাব করা হয় সর্বভারতীয় কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের ওপর ভিত্তি করে।