প্রসূন কে মিশ্র
বিহারের দিনমজুরকে ১৪ কোটি টাকার নোটিশ পাঠাল আয়কর দফতর। আধিকারিকদের দাবি, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোটি-কোটি টাকার লেনদেন ধরা পড়েছে। সেজন্য তাঁকে নোটিশ ধরানো হয়েছে। যদিও ওই নোটিশ দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন বিহারের রোহতাস জেলার ওই দিনমজুর।
দু'দিন আগে রোহতাস জেলার কারঘর গ্রামে মনোজ যাদব নামে ওই দিনমজুরের বাড়িতে আসেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। ১৪ কোটি টাকা মেটানোর জন্য তাঁকে নোটিশ ধরানো হয়। সেই নোটিশ পেয়ে আকাশ থেকে পড়েন মনোজ। আধিকারিকদের কাছে তিনি দাবি করেন, তাঁর কাছে যে পরিমাণ সম্পত্তি আছে, তার পুরোটা একাধিকবার বিক্রি করেও ১৪ কোটি টাকা শোধ করতে পারবেন না।
তবে শুধু মনোজ নন, নোটিশ দিতে গিয়ে ওই ব্যক্তির আর্থিক অবস্থা থেকে অবাক হয়ে গিয়েছেন আয়কর আধিকারিকরাও। তাঁরা জানিয়েছেন, স্বয়ংক্রিভাবে ওই নোটিশ এসেছে। যা আয়কর দফতরের সদর দফতর থেকে পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে তাঁরা দাবি করেছেন, মনোজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি-কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ মিলেছে। সেজন্যই নোটিশ ধরানো হয়েছে।
সাসারামের আয়কর বিভাগের আধিকারিক সত্যভূষণ প্রসাদ জানিয়েছেন, তাঁর কার্যালয় থেকে নোটিশ আসেনি। বরং সদর দফতর থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ওই নোটিশের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তি নিজের বক্তব্য পেশ করতে পারেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন সাসারামের আয়কর বিভাগের আধিকারিক।
আরও পড়ুন: Viral Video of Snake: খাবারের খোঁজে পিঁপড়ের গর্তে সাপ! তার পরেই ভয়ঙ্কর যুদ্ধ! জিতল কে? দেখুন Video
যদিও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোটি-কোটি টাকা লেনদেনের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন মনোজ। তাঁর দাবি, দিল্লি, হরিয়ানা এবং পঞ্জাবের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। কিন্তু ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জেরে লকডাউনের পরে নিজের গ্রামে ফিরে আসেন। আগে যেখানে চাকরি করতেন, সেখানে তাঁর আধার কার্ড এবং প্যান কার্ডের ফোটোকপি নেওয়া হয়েছিল। সেগুলি ব্যবহার করেই মালিকরা উলটো-পালটা কোনও কাজ করেছেন বলে আশঙ্কা মনোজের।
আরও পড়ুন: Bengaluru: রাতের রাস্তায় দম্পতির থেকে জরিমানা নিল পুলিশ! এরপর সেই উর্দিধারীর কী হল জানেন?
তারইমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই নোটিশ পাঠানোর পর থেকে ভয়ে সিঁটিয়েছিল মনোজের পরিবার। তারপর সোমবার সন্ধ্যায় বাড়িতে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন মনোজরা। তবে তাঁরা কোথায় গিয়েছেন, তা বলতে পারেননি গ্রামবাসীরা।