ভিনধর্মে বিয়ে করায় প্রাণ হারালেন যুবক। ঘটনাটি হয়েছে উত্তরপ্রদেশের বসতি জেলার পদারিয়া চেতসিং গ্রামে। বিবাহিত তরণীও মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃত তরুণীর পরিবারের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যায় অঙ্কিত নামক ১৯ বছরের এক যুবর বিয়ে করেন ১৮ বছর বয়সি আমিনাকে। আমিনা ধর্মে মুসলমান। এদিকে অঙ্কিত ছিলেন দলিত। এই আবহে আমিনার পরিবার এই বিয়ে মেনে নেয়নি। এই আবগে গত শুক্রবার মৃতদেহ উদ্ধার হয় আমিনার। এদিকে শুক্রবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিল যুবক। পরে খেতে তাঁরও মৃতদেহ মেলে। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ আমিনার পরিবারের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে।
জানা গিয়েছে, আমিনাকে কবর দেওয়া হয়েছিল লুকিয়ে। পরে গ্রামের এক ব্যক্তি আমিনার স্বামীর মৃতদেহ দেখতে পান খেতে। সেই সময় গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ তদন্তে নামে। স্থানীয় এসএইচও রাম কৃষাণ জানিয়েছেন, অঙ্কিতের বাবার কথায়, তাঁর ছেলে ট্রাক্টর চালক ছিলেন। পুলিশ জানতে পেরেছে যে সে যে ট্রাক্টরটি চালায় তা মুজিবুল্লাহর ছিল। সেই মুজিবুল্লাহর মেয়ে আমিনাকেই বিয়ে করেন অঙ্কিত। মুজিবুল্লাহ বর্তমানে পলাতক। অঙ্কিতের খুনের পর শোকে আমিনা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের অনুমান। মেয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার পরই সম্ভবত মুজিবুল্লাহ পালিয়ে যায় বলে ধারণা পুলিশের।
এরপর গতকাল পুলিশের হাতে যুবকের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসে। তাতে বলা হয়, গলা টিপে খুন কার হয়েছে অঙ্কিতকে। তবে এখনও আমিনার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এসসি/এসটি (প্রিভেনশন অফ অ্যাট্রোসিটিস) আইনে অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ঘটনায় তিন অভিযুক্ত ইরশাদ, ইরফান ও ইসরারকে গ্রেফতার করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত।