গুজরাটের স্কুলে একেবারে হাড়হিম করা ঘটনা। অন্তত ২৫জন আহত হয়েছেন এই ঘটনায়। গুজরাটের একটা প্রাইমারি স্কুলে পড়ুয়াদের মধ্য়ে ব্লেড দিয়ে হাত কাটার চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির মধ্য়ে পড়ুয়ারা নিজেদের মধ্যে এই চ্যালেঞ্জে নাম লিখেছিল। তারপর তারা ব্লেড দিয়ে হাত কাটা শুরু করে।
একেবারে ভয়াবহ ঘটনা। গুজরাটের আমরেলির ঘটনা। মূলত স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জের ঘটনা একেবারে অন্যদিকে মোড় নেয়।
চ্যালেঞ্জটা ছিল অনেকটা এই রকম। একজন বন্ধু অপর বন্ধুকে বলে ব্লেড দিয়ে হাত কাটতে পারলেই ১০ টাকা করে দেব। সেই শুরু। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পেন্সিলের যে সার্পনার থাকে সেখান থেকে ব্লেড বের করে তারা এই চ্যালেঞ্জ করা শুরু করেছিল। পুরো ঘটনা স্কুলেই হয়েছিল।
এদিকে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই পুলিশের কাছে খবর যায়। স্থানীয় পঞ্চায়েতেও খবর দেওয়া হয়। এরপর স্কুলে পুলিশ এসে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে। এদিকে পড়ুয়ারা অনুরোধ করে গার্জেনদের যেন কিছু বলবেন না। গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠছে। অন্তত ২৫জন পড়ুয়া এই কাজ করেছিল বলে খবর। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছে। আগামী দিনে যাতে এই ধরনের ঘটনা না হয় সেব্যাপারেও বোঝানো হয়েছে পড়ুয়াদের।
কেন পড়ুয়ারা এই ধরনের বিপজ্জনক গেম খেলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই ধরনের চ্যালেঞ্জ থেকে দূরে থাকার জন্য় বার বার সতর্ক করা হয়েছে। এই ধরনের গেম বা চ্যালেঞ্জ ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
তবে এর আগেও অনলাইনে এমন নানা গেমে আসক্ত হয়ে পড়ত পড়ুয়ারা যে তার পরিণতি হয়েছে ভয়াবহ।
এদিকে অনলাইন গেমও অনেক ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের বিপদ ডেকে আনে। অনলাইন গেমে রাশ টানতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, অনলাইন গেম নিয়ে এবার আরও সতর্ক হচ্ছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে। মূলত অনলাইন গেমের উপর নজরদারির জন্য এই টাস্ক ফোর্স কাজ করবে। এই প্যানেলের মধ্যে নীতি আয়োগের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক, মিনিস্ট্রি অফ হোম অ্যাফেয়ার্স, মিনিস্ট্রি অফ স্পোর্টস অ্য়ান্ড ইয়ুথ অ্যাফেয়ার্স, ইনফরমেশন অ্যান্ড ব্রডকাস্টিং, ডিপার্টমেন্ট অফ রেভিনিউ, লিগাল অ্যাফেয়ার্স, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজির প্রতিনিধিরা থাকছেন ।
মূলত এই কমিটি অনলাইন গেমের ক্ষতিকারক দিকগুলি খতিয়ে দেখবে। সেই অনুসারে ব্যবস্থা নেবেন। অনলাইন গেমের আসক্তির জেরে কেউ যাতে ক্ষতির মুখে না পড়েন সেটাও দেখবে এই কমিটি। পাশাপাশি এই টাস্ক ফোর্স বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকেও পরামর্শ নেবে বলে জানা গিয়েছিল সেই সময়।