স্বল্প সংখ্যক উড়ান। লোকবলও ঠিকঠাক নেই। তবুও পূর্বাঞ্চলের একাধিক এয়ারপোর্টের যাত্রী সংখ্যার তুলনায় এগিয়ে রয়েছে বিহারের দ্বারভাঙা বিমানবন্দর। সাম্প্রতিক পরিসংখ্য়ানে দেখা যাচ্ছে দ্বারভাঙার এই অগ্রগতি। কেন্দ্রের উড়ান স্কিমের আওতায় গত বছরের ৮ই নভেম্বর থেকে এখানে বিমান চালু শুরু হয়েছিল। তাতেই দেখা যাচ্ছে কোভিড অতিমারির মধ্যেও এই বিমানবন্দরে যাত্রী সংখ্যা কিছু কম নয়। ফ্লাইট চালুর পর থেকে ২২ শে মে পর্যন্ত ২ লক্ষ ২১ হাজার ৪১৪জন যাত্রী ইতিমধ্যেই এই বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করেছে।
সূত্রের খবর,পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য বিমানবন্দর যেমন ছত্তিশগড়ের রায়পুর, ওড়িশার ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরের তুলনাতেও যাত্রী সংখ্যার নিরিখে এগিয়ে রয়েছে দ্বারভাঙা। উত্তর বিহারের প্রায় ১৭টি জেলার বাসিন্দারা এই বিমানবন্দরের সুবিধা পান। আগে এখানে তিনটি ফ্লাইট চলত। ইদানিং সেই সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬টি। দিল্লি, আমেদাবাদ ও কলকাতার সঙ্গেও আকাশপথে যোগাযোগ রয়েছে দ্বারভাঙার। সিঙ্গল অপারেটর এয়ারপোর্ট হওয়া সত্ত্বেও এয়ারপোর্ট অথরিটি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এই সময়কালের মধ্যে দ্বারভাঙা বিমানবন্দরে ৫৬টি উড়ানে প্রায় ৭ হাজার ৪৬৮জন যাত্রী গিয়েছেন। তুলনামূলক বিচারে রায়পুরে ৮৮টি ফ্লাইটে ৪ হাজার ১৯১জন গিয়েছেন। ভুবনেশ্বরে ১৩২টি ফ্লাইটে গিয়েছে ৭ হাজার ৯২জন যাত্রী। এই সময়কালের মধ্যে বাগডোগরা বিমানবন্দরে ১১০টি উড়ানে গিয়েছেন ৬ হাজার ৮০জন যাত্রী। তবে সব মিলিয়ে গয়া বিমানবন্দরের স্থান সবথেকে নীচে। এই সময়কালের মধ্যে ১০টি বিমানে গিয়েছেন ২৯৬জন যাত্রী। দ্বারভাঙা বিমানবন্দরের এক আধিকারিকের দাবি, কম কর্মী আধিকারিক নিয়ে অত্য়ন্ত লাভজনক জায়গায় গিয়েছে দ্বারভাঙা বিমানবন্দর।