চলতি মাসেই অবসর নিতে চলেছেন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তারপর সেই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসতে চলেছেন ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস (আইএফএস) অফিসার বিনয় কোয়াত্রা। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, কূটনৈতিক পথে চিন এবং আমেরিকাকে সামলানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত পারদর্শী ১৯৮৮ ব্যাচের আইএফএস অফিসার।
শ্রিংলা অবসর নেওয়ার পর ভারতের বিদেশ সচিব কে হবেন, তা নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জল্পনা চলছিল। দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিং সান্ধু। ‘ডার্ক হর্স’ হিসেবে উঠে আসছিল কোয়াত্রার নাম। যিনি আপাতত নেপালের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করছেন। শেষপর্যন্ত সোমবার কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কোয়াত্রাকে ভারতের পরবর্তী বিদেশ সচিব হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, এমন একটা সময় তাঁকে শ্রিংলার উত্তরসূচি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে, যখন রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে এবং মস্কো ও ওয়াংশিংটনের সঙ্গে কূটনৈতিক পথে ভারসাম্য বজায় রেখে এগোতে হচ্ছে। সেইসঙ্গে লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে সংঘাত, শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকটের মতো বিষয়গুলি আছে।
এমনিতে অতীতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন ১৯৮৮ ব্যাচের আইএফএস অফিসার। ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের অগস্ট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যুগ্ম-সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তারপর ফ্রান্সে ভারতের দূত হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্যারিসে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরের মাসেই তাঁকে নেপালের রাষ্ট্রদূত করে পাঠানো হয়। যে দেশে চিনা আগ্রাসনের একাধিক চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয়েছে তাঁকে। যিনি ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বিদেশ মন্ত্রকে ডেস্ক অফিসার হিসেবে কাজ করেছিলেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রসংঘ সংক্রান্ত বিষয় সামলাতেন। আমেরিকা এবং কানাডার সঙ্গেও কাজ করেছিলেন।