নরেন্দ্র মোদীর ক্ষতি করতে চেয়ে পরিকল্পনা করছে দাউদ ইব্রাহিম। এমনই দাবি করে বেশ কয়েকটি অডিয়ো ক্লিপ তুলে দেওয়া হল মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের হাতে। এদিকে যে ব্যক্তি পুলিশকে এই অডিয়ো ক্লিপ পাঠিয়েছেন, তিনি নিজে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবহে ৪৩ বছর বয়সি ব্যক্তির পাঠানো সেই অডিয়ো ক্লিপ ভুয়ো বলে জানা যায়। এদিকে সেই ব্যক্তি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে জানাল পুলিশ। জানা যায়, মুম্বইয়ের ট্রাফিক পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন করে সেই ব্যক্তি দাউদ সংক্রান্ত অডিয়ো ক্লিপের বিষয়ে দাবি করেছিলেন।
সন্দেহভাজন ব্যক্তি এক ডজনেরও বেশি অডিয়ো ক্লিপ, বিভিন্ন ব্যক্তির ছবি, একটি সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ব্যবসায়িক কার্ড এবং একটি আধার কার্ড, অন্যান্য জিনিস পাঠিয়েছিলেন মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের সদর দপ্তর দ্বারা পরিচালিত হেল্পলাইন হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে। পুলিশ জানিয়েছে, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, যিনি এই বার্তা পাঠিয়েছে তিনি মানসিকভাবে অস্থির। তিনি সম্প্রতি তাঁর ভাইকে হারিয়েছেন এবং চার মাস আগে তাঁকে কাজ থেকে ছাঁটাই করা হয়েছিল।
পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে, ভুয়ো অভিযোগ জানানো ব্যক্তি এর আগে কেরলের এক সোনার দোকানে কাজ করতেন। অভিযোগকারীর পরিবারের সদস্যের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে যে সেই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। এই আবহে সেই অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারীর পরিচিতদের জেরা করে তারা জানতে পেরেছে যে সেই ব্যক্তি কেরলে বারবার দাবি করত যে ভূত দেখেছে। এদিকে সেই ব্যক্তি যাদেরকে দাউদ ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁরা কেরলে সোনার দোকানে তাঁর সতীর্থ ছিলেন। এর আগে গত অগস্টে একটি হুমকির বার্তা পেয়েছিল মুম্বই পুলিশ। ‘২৬/১১’-র ধাঁচে হামলার দাবি জানানো হয়েছিল তাতে। পাকিস্তানি নম্বর থেকে পাওয়া সেই মেসেজের তদন্তে অবশ্য বেশিদূর এগোতে পারেনি পুলিশ।