ব্রিটেনের পার্লামেন্টের সদস্য ডেভিড অ্যামেসকে হত্যা আসলে একটি সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা। তদন্তে নেমে এই বিষয়টি স্পষ্ট করল ব্রিটিশ পুলিশ। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই হত্যার পিছনে আসলে কী কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। ব্রিটেনের একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৫ দিন ধরে ছুরি হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ২৫ বছর বয়সি সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত এখনও খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে যেটুকু জানা যাচ্ছে, তা থেকে মনে হচ্ছে, ধৃত একজন সোমালি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। ধৃতের সঙ্গে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর যোগাযোগ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পুলিশ এই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু এখনই বলতে পারেনি। এই বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। শনিবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মৃত পার্লামেন্টের সদস্যকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যায়। তাঁর সঙ্গে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিরোধী দলনেতাও। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার, হাউস অফ কমনসের স্পিকার লিন্ডসে হোলি ও স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেল। স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেল ইতিমধ্যে ৬০০ জন জনপ্রতিনিধির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত শুক্রবার কনজারভেটিভ পার্টির পার্লামেন্টের সদস্য ডেভিড অ্যামেস যখন লন্ডনের পূর্ব দিকে ছোট শহর লেহ–এন–সি–তে একটি গির্জার সামনে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখনই তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এই সদস্যকে ছুরি দিয়ে আগাচ করা হয়। হামলার জেরে মৃত্যু হয় তাঁর। গত বছর অ্যামেসের লেখা একটি বই ‘আইস অ্যান্ড ইয়ার্স, আ সারভাইবার্স গাইড টু ওয়েস্টমিনিস্টার’ প্রকাশিত হয়েছিল।
এর আগে ২০১৬ সালে লেবার পার্টির এমপি জো কক্স সন্ত্রাসবাদী হামলার শিকার হন। তাঁকে মেরে ফেলা হয়। পরবর্তীকালে কক্সের বোন কিম লিডবিটার ওই একই কেন্দ্র থেকে জনপ্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত হন। গত শুক্রবারের ঘটনা প্রসঙ্গে কিম জানান, এই ঘটনা তাঁকে ভীত ও সন্ত্রস্ত করে তুলেছে। অনেক এমপিরাই তাঁর মতোই ভীত। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ৬৭৮টি অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেছে পার্লামেন্টের সদস্যদের ওপর।