বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > দাউদ করাচিতে থাকে, মেনে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস পাকিস্তানের

দাউদ করাচিতে থাকে, মেনে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস পাকিস্তানের

দাউদ ইব্রাহিম (ফাইল ফোটো)।

পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক দুটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে, সেটা কার্যক্ষেত্রে প্রণয়ন করার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে আইসিস, লস্কর, জইশ, আল কায়েদা, সহ ৯৩টি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে পাকিস্তান। 

মাথার ওপর ঝুলছে এফএটিএফ-এর খাঁড়া। সন্ত্রাস দমনে কতটা উদ্যোগী হয়েছে পাকিস্তান, সেটি দেখাতে হবে তাদের। নয়তো আসবে কঠিন অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ। সেই কারণে এবার নড়চেড়ে বসল পাকিস্তান। লস্করের প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সৈয়দ সহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা এবার কড়া হাতে প্রয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পাকিস্তান। একই ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জইশের প্রধান মাসুদ আজহার ও দাউদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ। 

পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক দুটি নির্দেশিকা জারি করেছে ১৮ অগস্ট। সেখানে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে, সেটা কার্যক্ষেত্রে প্রণয়ন করার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে আইসিস, লস্কর, জইশ, আল কায়েদা, তালিবান ও হাকানি গোষ্ঠী সহ ৯৩টি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে পাকিস্তান। অন্তত খাতায় কলমে নিতে চলেছে ব্যবস্থা। 

সন্ত্রাসবাদ ও কালো টাকা সাদা করা রুখতে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে ইমরান সরকার, সেটি  মাপবে এফএটিএফ। এর আগে ২৭টি পয়েন্টের অ্যাকশন প্ল্যান পাকিস্তানকে দিয়েছে এফএটিএফ। কিন্তু তারা মাত্র ১৪টি শর্ত পূর্ণ করেছে। এর জেরে তিরষ্কৃত হয়েছে পাকিস্তান। তবুও হুঁশ ফেরেনি। অবশেষে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বুঝতে পেরেই এল এই নির্দেশ। 

প্রথম নির্দেশিকায় ৮৮টি সন্ত্রাসবাদী ও সন্ত্রাসে মদত দেওয়া সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেখানে আছে লস্কর ও জইশ জঙ্গিদের কথাও। এরই সঙ্গে আছে দাউদ ইব্রাহিমের উল্লেখ। ১৯৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণের প্রধান কারিগর দাউদ ইব্রাহিমের করাচির তিনটি ঠিকানার কথাই দেওয়া আছে। এই ঠিকানাগুলি নিরাপত্তা পরিষদের দেওয়া। সেইগুলি লেখা হয়েছে পাকিস্তানের সরকারি নথিতে। এতদিন অবধি পাকিস্তান চিরকালই অস্বীকার করে এসেছে যে দাউদ করাচিতে থাকে। 

দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তিতে তালিবান ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে এমন নেতাও আছে যারা এখন আমেরিকার সঙ্গে শান্তিচুক্তি আলোচনায় যুক্ত। 

এই নির্দেশিকা অনুযায়ী এই সব সংগঠনের সমস্ত সম্পত্তি ফ্রিজ করে দিতে হবে, উল্লেখিত ব্যক্তিরা কোথাও যেতে পারবে না ও কোনও রকমের অস্ত্রশস্ত্র তাদের হাতে আসতে দেওয়া যাবে না। রাষ্ট্রসংঘের দেওয়া গাইডলাইনস অনুযায়ী এই নির্দেশিকা তৈরী করা হয়েছে। 

যদি এটি সত্যিই মানা হয়, তাহলে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের স্থাবর ও অস্থাবর সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। একই ভাবে তারা ব্যাঙ্ক বা অন্যান্য আর্থিক সংগঠনের  মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবে না। 

 

 

বন্ধ করুন