প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে ই-মেলে 'বৈদ্যুতিক প্রেম'। কিন্তু কথা রাখেননি ব্রিটেনের রাজপুত্র। তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও মেগান মের্কেলকে বিয়ে করেছেন। এমনই অভিযোগ করে হ্যারিকে গারদে ভরার দাবি তুলে মামলা করেছিলেন এক মহিলা। মঙ্গলবার পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে ছিল সেই মামলার শুনানি।
মহিলার দাবি, তাঁকে বিয়ে করবেন বলে জানিয়েছিলেন প্রিন্স হ্যারি। কিন্তু শেষমেশ সে কথা রাখেননি। এতে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ করা হয়েছে। তিনি সেজন্য ব্রিটেনের পুলিশ যাতে হ্যারির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে, সেই দাবি তোলেন।
তাঁর এমন দাবি শুনে প্রথমে বেশ হকচকিয়ে যান বিচারপতিরা। তারপর মহিলাকে আদালত প্রশ্ন করেন, 'কখনও ব্রিটেন গিয়েছেন?' উত্তরে মহিলা জানান, কোনওদিনও দেশের বাইরে যাননি তিনি। 'তাহলে ব্রিটেনের রাজপুত্রর সঙ্গে কথা হল কী করে?' প্রশ্ন করে কোর্ট। এর উত্তরে মহিলা জানান, তাঁর সঙ্গে হ্যারির কথা হয়েছে ই-মেল মারফত। আর তাতেই প্রেমে পড়েন তিনি!
এরপরেই কোর্টে বেশ কিছু ই-মেইল-এর প্রিন্ট আউট দেখান তিনি। সব দেখে বিচারপতি অরবিন্দ সিং সঙ্গওয়ান বলেন, 'আমার মনে হচ্ছে এই পিটিশানটা একটা দিবাস্বপ্নের মতো কল্পনা ছাড়া কিছুই নয়। খুব বাজে ভাবে আর্জিটা সাজানো। গ্রামারও ঠিক নেই। আর প্রিন্স হ্যারি নামের ই-মেল যে কেউ করতে পারেন।' কিছুটা মশকরার ছলেই বলেন, 'হয়তো এই প্রিন্স হ্যারি পঞ্জাবের কোনও গ্রামের সাইবার ক্যাফেতে বসে।'
মহিলার আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। বিচারক বলেন, 'আপনাকে আমরা কেবল সমবেদনা জানিয়ে সাহায্য করতে পারি, আর কিছু না।'