বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ‘ফি’ কম, করোনা ‘রহস্য’ সমাধানেও কম সময় নেবে ‘ফেলুদা’!

‘ফি’ কম, করোনা ‘রহস্য’ সমাধানেও কম সময় নেবে ‘ফেলুদা’!

‘ফি’ কম, করোনা ‘রহস্য’ সমাধানেও কম সময় নেবে ‘ফেলুদা’! (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য রয়টার্স)

সেই দিশা দেখিয়েছেন দুই বাঙালি বিজ্ঞানী দেবজ্যোতি চক্রবর্তী এবং সৌভিক মাইতি।

‘রহস্য’ সমাধানে লাগবে না বেশি সময়। ‘ফি’-ও কম। শুধু 'তদন্ত' শুরুর আগে প্রয়োজন ছিল অনুমোদন। বাণিজ্যিকভাবে 'তদন্ত' শুরুর জন্য শনিবার ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) অনুমোদনও পেয়ে গেল ‘ফেলুদা’।

শনিবার কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) জানিয়েছে, দেশীয় প্রযুক্তিতে করোনা পরীক্ষার কিট বাণিজ্যিকভাবে আত্মপ্রকাশের ছাড়পত্র পেয়েছে। যা ভারতের প্রথম ক্লাস্টার্ড রেগুলারলি ইন্টারস্পেসড শর্ট প্যালিনড্রোমিক রিপিট করোনাভাইরাস পরীক্ষা (সিআরআইএসপিআর)। সেই প্রযুক্তি যৌথভাবে তৈরি করেছে টাটা গ্রুপ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ ইনস্টিটিউট অব জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতের বৈজ্ঞানিকদের জন্য এটা উল্লেখ্যযোগ্য কৃতিত্ব। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) নির্দেশিকা মোতাবেক তাতে ৯৬ শতাংশ সংবেদনশীলতা আছে। একইসঙ্গে ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে করোনা চিহ্নিত করবে সেই প্রযুক্তি। শুধু তাই নয়, ১০০ দিনেরও কম সময়ে নিজস্ব প্রযুক্তিসম্পন্ন সেই ভরসাযোগ্য কিট ফেলুদা’ তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘চিরাচরিত আরটি-পিসিআর টেস্টের মতো সঠিক তথ্য দেবে  টাটা-সিআরআইএসপিআর। যা কম সময়ে হয়। কম দামের হয় সরঞ্জাম এবং সহজে ব্যবহার করা যায়। ভবিষ্যতে আরও কয়েকটি প্যাথোজেন চিহ্নিতকরণের জন্য সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে।'

আর সেই দিশা দেখিয়েছেন দুই বাঙালি বিজ্ঞানী দেবজ্যোতি চক্রবর্তী এবং সৌভিক মাইতি। তাঁদের নেতৃ্ত্ব একটি দল ‘ফেলুদা’-র উদ্ভাবন করেছে। বিষয়টি নিয়ে টাটা মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়গোনাস্টিক লিমিটেডের সিইও গিরিশ কৃষ্ণমূর্তি বলেন, 'বিশ্বব্যাপী মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত যে উদ্যোগ নিচ্ছে, তা আরও জোরদার করবে টাটা সিআরআইএসপিআর টেস্ট প্রযুক্তি।'

বন্ধ করুন
Live Score