শনিবার জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র পেল DRDO-র নয়া অ্যান্টি-কোভিড ওরাল ওষুধ। করোনা আক্রান্তদের দ্রুত সুস্থ হতে ও অক্সিজেনের অভাবজনিত সমস্যা লাঘবে সাহায্য করবে এটি।
কারা প্রস্তুত করেছে এই ওষুধ?
ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস (INMAS) ও ডক্টর রেড্ডিজ ল্যাবরেটরিজ(হাদরাবাদ) যৌথ উদ্যোগে এই ওষুধটি তৈর করেছে। 2-deoxy-D-glucose (2-DG)-এর অ্যান্টি-কোভিড থেরাপিউটিক অ্যাপ্লিকেশনটি ডেভেলপ করা হয়েছে।
ক্লিনিকাল ট্রায়াল :
তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে হাসপাতালে ভর্তি গুরুতর করোনা আক্রান্তদের দ্রুত সুস্থ করতে সাহায্য করে এই ওষুধ। অক্সিজেন সিলিন্ডারের উপর নির্ভরশীলতা কমাতেও সাহায্য করেছে এই ওষুধ।
ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, যাঁরা এই ওষুধ নিয়েছেন, তাঁরা অপেক্ষাকৃত দ্রুত করোনা নেগেটিভ হয়েছেন।
ফেজ-২-তে মোট ১১০ জন করোনা রোগীর উপর ট্রায়াল করা হয়। তৃতীয় ফেজে ২২০ জনের উপর ট্রায়াল চালানো হয়। দেশের মোট ২৭টি কোভিড হাসপাতালে এই ট্রায়াল করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বান:
করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে সকল দফতরকে এগিয়ে আসার ডাকে সারা দিয়ে এই ওষুধের তৈরি শুরু করে DRDO । গত ২০২০ সালের এপ্রিলে DRDO-র INMAS ল্যাবরেটরিতে শুরু হয় এই ওষুধের প্রস্তুতি। পরীক্ষাগারে এটি করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর হিসেবে দেখা যায়।
এর পরেই ড্রাগস কনট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (DGCI) পক্ষ থেকে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২০ সালের মে মাসে হয় ফেজ-২-এর ট্রায়াল। DRDO এবং ডক্টর রেড্ডিজ ল্যাবরেটরিজ (হায়দরাবাদ) ওষুধটি গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ও নিরাপদ বলে জানিয়েছে।
কীভাবে গ্রহণ করা হয় ওষুধটি?
একটি স্যাশের মধ্যে সংরক্ষণ করা হয় ওষুধটি। অনেকটা ORS-এর গুঁড়ো বা ইনোর প্যাকেটের মতো। এটি জলে গুলে রোগীকে পান করাতে হয়।