সামরিক ক্ষেত্রে অন্তত কয়েক কদম এগিয়ে গেল ভারত। এককথায় এবার বড় সাফল্য। মিনি সাইজের কিন্তু মারণাস্ত্র হিসাবে ব্যবহার হতে পারে এমন ড্রোন তৈরি হল ভারতে। এককথায় সশস্ত্র ড্রোন। তার সঙ্গেই যুক্ত থাকবে ছোট্ট মিসাইল। তবে এটা এতটাই শক্তিধর যে কিছুক্ষণের মধ্যে শত্রুর ট্যাঙ্কও উড়িয়ে দিতে পারে এটি।
সূত্রের খবর, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এই ধরনের ড্রোন তৈরি করতে পারে। তবে এবার সেনার মেক-২ প্রকল্পের আওতায় একটি বেসরকারি কোম্পানি এই সশস্ত্র ড্রোন তৈরি করেছে।
সেনা সোর্স সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনার সঙ্গে সমণ্বয় রেখে ৩০-৪০টি কোম্পানি ভারতে এই ধরনের ড্রোন তৈরি করছে। সেনার প্রয়োজন অনুসারে এই ড্রোন তৈরি করা হবে। এর সঙ্গে ১০-১২ কেজি ওজনের একটি অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল যুক্ত থাকবে। প্রায় ১৫-২০ কিমি দূরে গিয়ে এটি মিসাইল অ্যাটাক করতে পারবে।
ডেপুটি চিফ অফ আর্মি স্টাফ লেফটেনান্ট জেনারেল বিএস রাজু এই ড্রোন তৈরির বিষয়টি স্বীকার করেছিলেন। পার্লামেন্টের একটি কমিটির কাছে এনিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন।
তিনি জানিয়েছিলেন, আমরা এমন ড্রোন তৈরি করেছি যেটা মিসাইল দিয়ে ১৫-২০ কিমি দূরে থাকা একটি ট্য়াঙ্ককেও উড়িয়ে দিতে পারে।
সূত্রের খবর, মূলত ছোট ও মাঝারি সাইজের এই ড্রোন তৈরি করা হচ্ছে। এতে খরচ কম পড়বে কিন্তু একেবারে আগুনের গোলা গিয়ে পড়বে শত্রুর ট্যাঙ্কে। প্রাথমিকভাবে ৫০০টি এই ধরনের সশস্ত্র ড্রোন প্রথম দফায় কেনা হবে। তবে একাধিক ভৌগলিক এলাকায় এই ড্রোনের ব্যবহার করার জন্য এগুলিকে একাধিক পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
কীভাবে এটি হামলা চালাবে?
প্রথমে ড্রোনটি শত্রুদের সম্পর্কে খবর সংগ্রহ করবে। তারপর সেটি গ্রাউন্ড স্টেশনে খবর পাঠাবে। তারপরই টার্গেটকে নিশানা করবে মিসাইল। হামলা চালিয়ে ফিরে আসবে ড্রোনটি।
মূলত এটি আমেরিকার সশস্ত্র ড্রোন MQ-9 এর আদলে করা হচ্ছে। তবে মার্কিন ড্রোনগুলি সাইজে কিছুটা বড় হত। তবে ভারতের ড্রোনগুলির সাইজ ছোট থাকবে।
তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক পরিকল্পনা নিয়েছিল তারা মার্কিন ড্রোন কিনবে। আল জাওয়াহিরিকে নিকেশ করতে আমেরিকা একটা সময় এই ড্রোন ব্যবহার করেছিল।
এর সঙ্গে বিস্ফোরক বহনকারী ড্রোন তৈরির উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রেও বেসরকারি কোম্পানি এগুলি তৈরি করবে। ৫ কেজি পর্যন্ত বিস্ফোরক এগুলি বহন করতে পারে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় নজরদারির জন্য উপগ্রহ নিয়ন্ত্রিত ড্রোনও ব্যবহার করা হয়।