দাম বৃদ্ধির কারণে ধাক্কা খেয়েছে চাহিদা। তার জেরে সোনার দামের উপর ছাড় দিতে বাধ্য হচ্ছেন ডিলাররা। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আউন্সপ্রতি পাঁচ ডলার ছাড় দেওয়া হচ্ছে।প্রায় এক মাসে প্রথমবার এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় ভারতীয় বাজারে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৮,০০০ টাকার উপরে ছিল। সেদিনই বাজারে লেনদেনের সময় সোনার দাম ৪৮,৩৮৯ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। যা প্রায় একমাসে সর্বোচ্চ ছিল। সোনার ডিলারদের উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, চাহিদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে হলুদ ধাতুর সেই উত্থান। এমনিতে সপ্তাহকয়েক আগে ভারতীয় বাজারের বিষয়ে রেলিগে ব্রোকিংয়ের সুগন্ধা সচদেব জানিয়েছিলেন, অদূর ভবিষ্যতে সোনা ঘুরে দাঁড়াতে পারে। সেইমতো প্রায় ৪৮,৫০০ টাকার কাছে পৌঁছে গিয়েছে ১০ গ্রাম সোনা। যা গত বছরের অগস্টে রেকর্ড দর ৫৬,২০০ টাকার থেকে ৭,০০০ টাকার মতো কম।
অন্যদিকে, বিশ্ব বাজারেও চলতি মাসে বেড়েছে সোনার দাম। টানা চারবার সপ্তাহিক উত্থানের সাক্ষী থেকেছে হলুদ ধাতু। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেল্টা প্রজাতির করোনাভাইরাসের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন করে বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে। সেইসঙ্গে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের প্রধান জেরোম পাওয়ালের মন্তব্যও সহায়তা করেছে সোনাকে। মুদ্রাস্ফীতির হার ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেও মার্কিন অর্থনীতিকে যে সহায়তা জোগাচ্ছে ফেডেরাল রিজার্ভ, তার স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন, দামের উপর যে চাপ বাড়ছে, তা সাময়িক একেবারে। সেই পরিস্থিতিতে লগ্নিকারীরা আর্থিক নীতির দিকে তাকিয়ে আছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এমনিতে শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় এক আউন্স সোনার দাম ১,৮১৫ ডলারের কাছে ছিল।