কেন্দ্র সরকার এদিন জানিয়ে দিল যে পয়লা জানুয়ারি থেকে যে বর্ধিত হারে ডিয়ারনেস অ্যালায়োন্স অর্থাত মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার কথা ছিল, সেটি দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, জুলাই ২০২১ অবধি ডিএ বৃদ্ধি করা হবে না, সেটিও জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এই সময়কালের জন্য কোনও এরিয়ারও দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে মোদী সরকার। মূলত করোনার জেরে কেন্দ্রের রাজস্বে যে টান পড়েছে, তার ফলেই চাকুরিজীবী ও পেনশনভোগীদের ভাতা কাঁটছাঁট করল কেন্দ্র।
একই সঙ্গে রাজ্য সরকারগুলিকে একই পথ অনুসরন করার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র বলে জানা গিয়েছে। সবাই এই সিদ্ধান্ত নিলে বছরে ১.২০ লক্ষ কোটি টাকা বাঁচতে পারে যা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাজে আসবে, বলে কর্তাদের অভিমত।
ডিপার্টমেন্ট অফ এক্সপেনডিচার এই ফ্রিজ অর্ডার দিয়েছে কর্মরতদের ডিএ ও অবসরপ্রাপ্তদের ডিয়ারনেস রিলিফের ওপর। তবে আগের হারে ডিএ ও ডিআর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক। এর দ্বারা ৩৭,৫৩০ কোটি টাকা বাঁচাবে কেন্দ্র।
মুদ্রাস্ফীতির হাত থেকে কর্মীদের বাঁচানোর জন্যেই মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়। বছরে দুই বার করে এই ভাতা দেওয়া হয়। সেই হিসাব অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে বেসিকের ওপর ২১ শতাংশ ডিএ পাওয়ার কথা ছিল কর্মীদের। কিন্তু এখন তারা ১৭ শতাংশ করেই পাবেন যেমন পাচ্ছেন।
একই সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্যেও এরকম একটি প্রস্তাব আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এতে ৮২,৫৬৬ কোটি টাকা বাঁচানো যাবে, আশা কেন্দ্রের। এক শীর্ষ কর্তা বলেছে যে সচারচর যখন বড় কোনও খরচার ধাক্কা থাকে তখন কেন্দ্রের পথেই ডিএ ও ডিআর দেয় রাজ্যগুলি।
বিহারের এক পদস্থ আমলা জানান যেসব রাজ্যের কাছে তেমন টাকা নেই, তাদের কেন্দ্রের কথাই শুনতে হবে। যাদের কাছে পর্যাপ্ত টাকা আছে, তারা অতিরিক্ত ডিএ দিতে পারে। তবে সাধারণত এই সব বিষয়ে রাজ্যগুলি কেন্দ্রের কথা মেনেই চলে।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের আগামী ১২ মাসের জন্য একদিন করে মাইনে কাটার প্রস্তাবও বিবেচনা করে দেখছে কেন্দ্র।