নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭২৪। সংক্রমণের গতি রোখা না গেলে এই সংখ্যা অচিরেই ছাপিয়ে যেতে পারে SARS মহামারীতে মৃতের সংখ্যাকে।
শনিবার কোরানভাইরাসের আতুরঘর হিসেবে পরিচিত চিনের হুবেই প্রদেশে সংক্রমণের জেরে ফের একাশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণের গতিরোধ করতে হুবেই প্রদেশে দুই বিশেষ আধিকারিককে নিয়োগ করেছে বেজিং।
২০০২-২০০৩ সালে শ্বাসকষ্টজনিত SARS রোগে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়। চিনের সীমান্ত পেরিয়ে সে সময় রোগ ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বজুড়ে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় চিন, হংকং ও ম্যাকাউয়ের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের বুকিং বাতিল করল বিশ্বখ্যাত পর্যটন সংস্থা রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ক্রুজেস লিমিটেড। একই সঙ্গে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, অসুস্থ বোধ করলে অথবা শরীরে ফ্লু-এর উপসর্গ দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের জাহাজে ওঠার অনুমোদন দেওয়া হবে না। শুক্রবার সংস্থার ‘অ্যান্থেম অফ দ্য সিজ’ জাহাজ নিউ জার্সি বন্দর ছাড়ার আগে দুই ডজনের বেশি যাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসে মৃত ২৫ হাজার, দাবি চিনা বহুজাতিক সংস্থার
ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করার ইচ্ছা থাকলেও বেজিংয়ের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে আমেরিকা। তবে সংক্রমণের আঁচ পড়েনি মার্কিন স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ব্যবহৃত চিনে তৈরি মেডিক্যাল সরঞ্জামের জোগানে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বর্তমানে বিশ্বে দু’টি উল্লেখযোগ্য গবেষণা চলেছে। আগামী আড়াই মাসের মধ্যে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে আমেরিকার মডার্না ইনকর্পোরেটিভ-এর তৈরি সদ্য আবিষ্কৃত ভ্যাক্সিনের।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় শুক্রবার দুই জন নতুন আধিকারিক নিয়োগ করেছে চিন সরকার। হুবেইতে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা দলের প্রধান করা হয়েছে চেন ইক্সিনকে, যিনি এর আগে হুবেইতে কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান সচিব হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া, হুবেই স্ট্যান্ডিং কমিটির উপ-প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের উপ-প্রধান ওয়্যাং।