শনিবার দিল্লিতে এক ভয়াবহ ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। দিল্লির ওল্ড রাজেন্দ্র নগরে অক কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে জল ঢুকে যায়। সেখানের জলে ডুবে গিয়ে মৃত্যু হয় ৩ জন পড়ুয়ার। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারগুলিতে। গোটা এলাকা হতভম্ব। এই তিন পড়ুয়াই ইউপিএসসির জন্য পড়াশোনা করছিলেন। আর তার জন্যই ওল্ড রাজেন্দ্রনগরের ওই কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন।
দিল্লির ওল্ড রাজেন্দ্র নগর এলাকা সরকারি পরীক্ষার কোচিং সেন্টারের জন্য খ্যাতনামা। একাধিক কোচিং সেন্টারে সেখানে ইউপিএসসির প্রস্তুতি করানো হয় পড়ুয়াদের। মূলত, ইউপিএসসির জন্য প্রস্তুতি নিতেই সেখানে প্রতি বছর পড়ুয়াদের ভিড় হয়। এমনই একটি কোচিং সেন্টার ছিল ‘রাউস আইএএস’। সেখানের পড়ুয়া ছিলেন উত্তর প্রদেশের শ্রেয়া যাদব, তেলাঙ্গানার তানিয়া সোনি, কেরলের নিভিন দালউইনরা। কেরলের এরনাকুলামের বাসিন্দা ছইলেন নিভিন। তিনি জেএনইউ থেকে পিএইচডির পড়ুয়া বলেও খবর। জেএনইউ-র ইউনিয়নের সদস্য ঐশী ঘোষ জানান, নিভিনের পিএইচডি অ্যাডভাইসারের সঙ্গে তিনি নিয়ে হাসপাতালে তাঁর দেহ শণাক্ত করেন। নিভিনের বয়স ২৮, শ্রেয়া আর তানিয়া ২৫ বছর বয়সী। এই তিন পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়েছে শনিবার। পুলিশ, দমকল, এনডিআরএফের তৎপরতায় ওই কোচিং সেন্টারের বেসমেন্ট থেকে ওঁদের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লির দমকল বিভাগ শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাও আইএএস স্টাডি সেন্টার এবং করোলবাগ এলাকায় জলাবদ্ধতার বিষয়ে একটি কল পেয়েছিল, যেখানে দুই বা তিনজন শিক্ষার্থী প্লাবিত বেসমেন্টে আটকে থাকার খবর পেয়েছিলেন। সেখানে পৌঁছেই জল পাম্প করে বের করার চেষ্টা করে দমকল সহ এনডিআরএফ। তবে ক্রমাগত বৃষ্টিতে বেসমেন্টের জল কমানো সম্ভব হচ্ছিল না। সামান্য একটু জল প্রথমে নামতেই, ১২ ফুট থেকে জলস্তর নেমে ৮ ফুট হয়। তখনই উদ্ধার করা হয় দেহগুলি। কোচিং সেন্টারে প্রায় ৩০ জন ছাত্র ছিল, যাদের মধ্যে ১২ থেকে ১৪ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।