দিন কয়েকের একটানা অবিরাম বৃষ্টি। এর জেরে প্লাবিত কেরলের বিস্তীর্ণ এলাকা। রাজ্যের ১১টি জেলার হলুদ সতর্কতা জারি করা রয়েছে। এদিকে ইতিমধ্যেই হড়কা বান ও ধসে অন্তত ৩৫জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। বিভিন্ন বাঁধে জলের চাপ ক্রমশ বাড়ছে। পামবা সহ অন্যান্য নদীত জলস্ফীতির জেরে সবরীমালা মন্দিরে দর্শনার্থীদের তীর্থযাত্রায় নিষেধ করা হয়েছে। রাজস্বমন্ত্রী কে রাজন জানিয়েছেন, লকগেট খুলে দেওয়ার পর পামবা নদীতে জলতল প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে যেতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে তীর্থযাত্রা কোনওভাবেই ঠিক নয়। কোট্টায়ম থেকে অনেকেই যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তাদের ফেরৎ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরী ভিত্তিতে বৈঠক ডাকেন। বাঁধ থেকে জল ছাড়ার ব্যাপারে এক্সপার্ট কমিটিও করা হয়েছে। এই বিশেষজ্ঞ কমিটি জলসীমার উপর নজরদারি রাখবেন। তার ভিত্তিতেই জল ছাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। এদিকে ইদুক্কি বাঁধে সোমবার জলতল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৯৬ ফুট। কমলা সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। এদিক ইদুক্কির জলধারণ ক্ষমতা ২ হাজার ৪০৩ ফুট। এদিকে ইদুক্কির সাংসদ ইতিমধ্য়েই অনুরোধ করেছেন কিছু লকগেটকে খুলে দেওয়ার জন্য।
এদিকে সরকার ইতিমধ্যেই প্রচুর ত্রাণশিবির খুলেছে। কিছু জায়গায় জল নেমে গেলেও তাড়াহুড়ো করে বাড়িতে না ফেরার ব্যাপারেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। ইদুক্কি থেকে সোমবার একটি শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কোক্কায়ারে ৮জন মৃতের মধ্যে ৫জনই শিশু।কোট্টায়ামে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪জন। এদিকে মৃত্যুর পেছনে কারা দায়ী তা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও চলছে।