এনকাউন্টারে নিকেশ করে দেওয়া হল এক অভিযুক্ত অস্ত্রকারবারীকে। সোমবারই অসমের করিমগঞ্জ এলাকা থেকে বিএসএফ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ধরা পড়েছিল ওই অস্ত্রকারবারী। গ্রেফতারের কয়েকঘন্টার মধ্যে রাতেই তাকে এনকাউন্টারে মেরে ফেলা হয়েছে বলে খবর। অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম তার একজন সঙ্গীকে নিয়ে শিলচর থেকে গুয়াহাটিগামী ট্রেনে যাচ্ছিল। সেই সময় অস্ত্র সহ তারা ধরে পড়ে। এদিকে পুলিশের দাবি গ্রেফতার করার পরে সে পালানোর চেষ্টা করছিল। সূত্রের খবর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিএসএফ ও পুলিশ অভিযান চালায়। সেই সময় ৩১ বছর বয়সী নুরুল ও নাগাল্যান্ডের বাসিন্দা ২২ বছর বয়সী নাগাল্যান্ডের বাসিন্দা অপর এক যুবককে পুলিশ ও বিএসএফ যৌথভাবে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে ৫টি পিস্তল পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে।
এদিকে পুলিশের দাবি, সোমবার অভিযুক্ত দুজনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বদরপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়ই নুরুল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় সে পুলিশের কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। এদিকে কর্তব্যরত পুলিশ তাকে আটকানোর জন্য নানাভাবে সতর্ক করেন। কিন্তু তবুও নুরুল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তখনই সে গুলিতে জখম হয়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তবে এক পুলিশ আধিকারিকের দাবি, জায়গাটা খুব অন্ধকার ছিল। নুরুলকে ওদের দলের লোকেরাই মেরে ফেলল নাকি পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না।