অক্সিজেনের আকালে করোনাভাইরাস রোগীদের মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যে কর্তৃপক্ষের উপর অক্সিজেনের জোগানের দায়িত্ব আছে, তারা ‘অপরাধমূলক কাজ’ করছে। যা ‘গণহত্যার কম কিছু নয়।’
উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রের অবস্থা নিয়ে যে স্বতঃপ্রণোদিত জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল, তাতেই সেই মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। দুই সদস্য়ের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, 'শুধুমাত্র হাসপাতালে অক্সিজেনের জোগান না দেওয়ার জন্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যু দেখে আমরা ব্যথিত। এটা অপরাধমূলক কাজ এবং যারা তরল মেডিকেল অক্সিজেন জোগান নিশ্চিত করার দায়িত্বে আছে, তাদের করা গণহত্যার থেকে কম কিছু নয়।'
সেইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে শুনানির পরবর্তী তারিখে লখনউ, প্রয়াগরাজ, বারাণসী, গোরখপুর, গাজিয়াবাদ, মীরাট, গৌতমবুদ্ধ নগর এবং আগ্রার পঞ্চায়েত ভোটগণনার সিসিটিভি ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে কমিশন যদি দেখতে পায় যে করোনাভাইরাস বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে, তাহলে একটি নির্দিষ্ট ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ (কী করা হবে) নিয়ে কমিশনকে হাইকোর্টের সামনে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমনিতেই উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত ভোটের ডিউটিতে গিয়ে ১৩৫ জন ভোটকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে শোকজ নোটিশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ডিভিশনের বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছিল, 'ভোটের কাজে থাকা আধিকারিকরা যাতে মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত না হন, তার জন্য পুলিশ বা নির্বাচন কমিশন কিছুই করেনি বলে মনে হচ্ছে।' তারইমধ্যে একটি মামলায় গণনাকেন্দ্রে করোনা বিধি মেনে চলা হবে বলে কমিশন আশ্বাস গণনার অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।