সম্প্রতি মেঘালয়ে গিয়ে গারো পার্বত্য অঞ্চলে একটি জনসভা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভারই একটি অংশ নিয়ে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় 'মিম' তৈরি হয়েছে। সেই ভিডিয়োতে মমতাকে সুর করে 'কুকু' বলে ডাকতে শোনা যাচ্ছে। প্রেক্ষাপটহীন সেই সংক্ষিপ্ত ভিডিয়োটি নেটিজেনদের হাসির খোরাক হলেও তা বরদাস্ত করতে পারেননি তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তাই সেই ভিডিয়োর নেপথ্যে থাকা আসল সত্যটা সবার সামনে তুলে ধরলেন তিনি। বোঝালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেভাবে 'কুকু' ডাকের আসল কারণ। পাশাপাশি বিজেপি, সিপিএম সমর্থকদের একহাত নিয়ে তাদের 'মাকু' বলেও সম্বোধন করেন দেবাংশু।
দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেঘালয়ে গিয়ে কুকু করতে শুনে মাকু বিজেপিদের ট্রোলিং শুরু হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তারা যত ট্রোল করে, ততই নিজেদের মূর্খ প্রমাণ করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিনদিন বিশ্বজনীন হয়ে উঠছেন, ওরা আরও মূর্খ হয়ে যাচ্ছেন।' তাঁর কথায়, কেউ যদি মমতার 'কুকু' ভিডিয়ো দেখে 'হাহা' রিঅ্যাক্ট করে থাকেন, তাহলে তিনি নিজেকে মূর্খ প্রমাণ করেছেন। এরপর দেবাংশুর ভিডিয়োতে মেঘালয়ে মমতার সভার ভিডিয়ো ক্লিপ দেখা যাচ্ছে। সেখানে তৃণমূল সুপ্রিমোকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'আমি একজনকে প্রশ্ন করলাম, তোমার নাম কী? জবাবে আমাকে সঙ্গীতের মতো করে আমাকে নিজের নাম বলল - কাকু।'
এরপরই দেবাংশুর ভিডিয়োতে অন্য এক ডকুমেন্টারির ক্লিপ দেখা যায়। তাতে মেঘালয়ের 'হুইসলিং ভিলেজে'র কথা তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে সবাই নিজের নাম সুরের ওপর ভিত্তি করেই বলে। সুরের মাধ্যমে একে অপরকে ডাকেন সেই। সেখানে সঞ্চালিকাকে বলতে শোনা যায়, 'মেঘালয়ের অনেক গ্রামেই সন্তান জন্মের পর মায়েদের মুখে প্রথম যে গানটা আসে, তাই সেই সন্তানের নামে পরিণত হয়। পরবর্তীকালে সেই নামে বা গানের সুরেই তাকে সবাই ডেকে থাকে।'
সেই ডকুমেন্টারির অংশের পর ভিডিয়োতে দেবাংশুকে বলতে শোনা যয়, 'আসলে ওই মহিলা (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) খুব কঠিন জিনিসটাকেও সাধারণ ভাষায় সবাইকে বোঝাতে পারেন। আপনাদের কাছে তা তাঁর দুর্বলতা হতে পারে। আপনার মানে, বিজেপি, সিপিএম আঁতেলদের কথা বলছি। হাতে একটু ওয়াইনের গ্লাস নিয়ে। বয়েজ কাট চুল রেখে... মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়তে দেদার ইংরেজিতে গালাগালি করা, আপনাকে সেটা সন্তুষ্টি দিতে পারে। তবে প্রত্যেক পাঁচ বছর পর ইভিএম দিয়ে মানুষ বুঝিয়ে দেয় যে ওটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শক্তি। আবার ভুল খেলে ফেলেছেন দাদা।'