দিল্লিতে বিভিন্ন রাজ্য বিধানসভার প্রিসাইডিং অফিসারদের সম্মেলন। জনপ্রতিনিধিদের সাসপেনশন থেকে দলত্যাগ বিরোধী আইন, নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে সম্মেলনে। আলোচনায় উঠে আসে যে, হাউজের ওয়েলে নেমে জনপ্রতিনিধিরা হুজ্জুতি করলে তাঁরা আপনা আপনি সাসপেন্ড হয়ে যাবেন। এমন নিয়ম করা উচিত। তবে এনিয়ে ভিন্ন মতও আছে। দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়েও ইদানিং নানা চর্চা হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে। এবার সম্মেলনেও সেই দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্রসঙ্গে স্পিকারের ভূমিকা কী হওয়া উচিত তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এদিকে সম্মেলনে অনেকেই মতামত দেন যে ইদানিং বিধানসভার ওয়েলে দাঁড়িয়ে নানা কাণ্ডকারখানা ঘটিয়ে ফেলছেন জনপ্রতিনিধিরা। সেকারণে এমন নিয়ম করা দরকার যে এসব করলে তাঁরা আপনা আপনি সাসপেন্ড হয়ে যাবেন। অনেকেই মত দিয়েছেন ছত্তিশগড় বিধানসভায় ইতিমধ্যেই এই ধরনের নিয়ম রয়েছে। লোকসভাতেও এই ধরনের নিয়ম রয়েছে। তবে তা বিশেষ প্রয়োগ করা হয় না।
এদিকে দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়েও নানা কথা উঠে এসেছে এদিনের আলোচনায়। এদিকে রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার এনিয়ে রিপোর্টও তৈরি করেছেন। এক্ষেত্রে স্পিকারে ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার বলেও তিনি মতামত দিয়েছেন। তবে বক্তাদের একাংশের দাবি, এনিয়ে নানা মত রয়েছে। সেকারণে এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা দরকার। এদিকে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিই তাদের প্রার্থীদের টিকিট দেয়। যদি তিনি হাউজের সদস্যপদ হারান তবে দলেরই সেব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো দরকার। অন্যদিকে গোটা দেশজুড়েই বিধানসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে একই ধরনের আইন হওয়া দরকার বলেও অনেকে মতামত দিয়েছেন।