রবিবার তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী। এরই সঙ্গে গিত হল মোদী ৩.০ সরকার। এই নয়া মন্ত্রীদের মধ্যে থেকে ৩৩ জন প্রথমবার মন্ত্রী হয়েছেন। এবং তাদের মধ্যে ছয়জন সুপরিচিত রাজনৈতিক পরিবার থেকে এসেছেন। এদিকে এবারে মোদী সরকারে যোগ দিয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টর এবং কর্ণাটকের এইচডি কুমারস্বামী প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছেন। এদিকে মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় এই প্রথমবার এতজন মন্ত্রী হয়েছেন শরিকদলগুলি থেকে। তাঁদের মধ্যে কয়েজন হেভিওয়েট হলেন - টিডিপির কে রামমোহন নাইডু এবং চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি; জেডিইউয়ের লালন সিং ও রামনাথ ঠাকুর, আরএলডির জয়ন্ত চৌধুরী, এলজেপির চিরাগ পাসোয়ান এবং জেডি(এস)-এর এইচডি কুমারস্বামী। (আরও পড়ুন: বেতন বা ভাতা আটকে রাখা কি প্রতারণামূলক অপরাধ? বড় পর্যবেক্ষণ আদালতের)
আরও পড়ুন: মাত্র ২৪০ আসন পেয়ে সরকার গঠন, এবার বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে বিজেপিতে
আরও পড়ুন: বাড়বে ইনসেন্টিভ! ভোট মিটতেই বদলে যাবে সরকারি কর্মীদের বেতন কাঠামো?
এর মধ্যে সুপরিচিত রাজনৈতিক পরিবার থেকে আসা ৬ জন স্থান পেয়েছেন মোদীর নয়া সরকারে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন রাষ্ট্রীয় লোক দলের জাতীয় চেয়ারম্যান, ৪৫ বছর বয়সি জয়ন্ত চৌধুরী। ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংয়ের নাতি এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চৌধুরী অজিত সিংয়ের ছেলে তিনি। এদিকে বিহারের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ পাসোয়ান কেন্দ্রীয় সরকারে মন্ত্রী হয়েছেন এবারে। এদিকে জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর রামনাথ ঠাকুর প্রখ্যাত সমাজতান্ত্রিক নেতা তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পুরি ঠাকুরের ছেলে। এবছর কর্পুরি ঠাকুরকে মরণোত্তর ভারতরত্নে ভূষিত করা হয়েছিল। এদিকে ১৯৯৫ সালে খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের হাতে খুন হওয়া পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিংয়ের নাতি রভনীত সিং বিট্টু মোদী মন্ত্রিসভায় নতুন প্রবেশ করেছেন। অপরদিকে মহারাষ্ট্রে বিজেপি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এনসিপি নেতা একনাথ খাডসের পুত্রবধূ রাখি খাডসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন। এদিকে মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের অন্যতম কনিষ্ঠ মন্ত্রী থেকে জিতিন প্রসাদ ১০ বছর পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ফিরছেন। ২০২১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তাঁর বাবা জিতেন্দ্র প্রসাদ ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধী এবং ১৯৯৪ সালে পি ভি নরসিমা রাওয়ের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন।
এদিকে এবার বিজেপি থেকে প্রথমবারের মতো মন্ত্রী হয়েছেন কেরলের অভিনেতা রাজনীতিবিদ সুরেশ গোপ, কমলেশ পাসোয়ান (উত্তরপ্রদেশ), সুকান্ত মজুমদার (পশ্চিমবঙ্গ), দুর্গা দাস উইকে (মধ্যপ্রদেশ), রাজভূষণ চৌধুরী (বিহার), সতীশ দুবে (বিহার), সঞ্জয় শেঠ (ঝাড়খণ্ড), সি আর পাতিল (গুজরাট), ভগীরথ চৌধুরি (রাজস্থান), হর্ষ মালহোত্রা (দিল্লি), ভি সোমান্না (কর্ণাটক), সাবিত্রী ঠাকুর (মধ্যপ্রদেশ)। এছাড়া দিল্লির কমলজিৎ সেহরাওয়াত, মহারাষ্ট্রের প্রতাপরাও যাদব, কেরলের জর্জ কুরিয়ান, উত্তরপ্রদেশে কীর্তি বর্ধন সিং, ছত্তিশগড়ের তোখন সাহু, অন্ধ্রপ্রদেশের ভূপতি রাজু শ্রীনিবাস ভার্মা, গুজরাটের নিমুবেন বাম্ভনিয়া, মহারাষ্ট্রের মুরলীধর মোহল, অসমের পবিত্র মার্ঘেরিটা এবং তেলেঙ্গানার বান্দি সঞ্জয় কুমারও প্রথমবার বিজেপি থেকে মন্ত্রী হয়েছেন।