ভারতে শুরু হয়েছে করোনা টিকাকরণ। পড়শি দেশ সহ যেসব দেশকে কোভিড টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত, তাদের কবের মধ্যে রফতানি করা হবে, সেই নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে মোদী সরকার। প্রাথমিক ভাবে পড়শি দেশগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। তবে সিদ্ধান্ত নিতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল সূত্র থেকে জানা গিয়েছে।
ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ প্রকল্প শুরু হয়েছে। সরকারের টার্গেট হচ্ছে জুলাইয়ের মধ্যে দুই ধাপে তিরিশ কোটি মানুষকে টিকাকরণ করানোর। সেই জন্য আপাতত প্রশাসনের তরফ থেকে হিসেব-নিকেশ করা হচ্ছে। মাথায় রাখা হচ্ছে ঘরোয়া চাহিদা কতটা, যে দুই সংস্থা ছাড়পত্র পেয়েছে তারা কতটা উৎপাদন করতে পারবে ও যোগান দিতে পারবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। একই সঙ্গে কতটা টিকা বিক্রি করা হবে ও কোন কোন ক্ষেত্রে এমনি দেওয়া হবে, সেটাও হিসেব করা হচ্ছে।
বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী হল ভারত। তাই করোনা টিকা দ্রুত দেওয়ার জন্য চাপ আছে পড়শি দেশ ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রদের থেকে। নেপালি বিদেশমন্ত্রী যিনি তিন দিনের সফরে ভারতে এসেছিলেন, তিনিও দ্রুত তাঁর দেশে টিকা পাঠানোর আর্জি জানিয়েছেন।
এই বিষয় ওয়াকিবহাল সূত্রের মতামত হচ্ছে প্রাথমিক ভাবে পড়শিদের দেওয়া হবে। ঘরোয়া ও পড়শিদের চাহিদা মিটে গেলে তবে অন্যত্র পাঠানো হবে করোনা টিকা। বাংলাদেশের মতো কিছু রাষ্ট্র সেরামের সঙ্গে চুক্তি করে রেখেছে। সব মিলিয়ে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই রফতানি বিষয়ক সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। তবে অন্য দেশের জন্য দুই কোটি করোনা ডোজ সরিয়ে রেখেছে ভারত, এমন কথা অমূলক বলে জানানো হয়েছে।
এর মধ্যেও নেপালের মতো দেশ যাদের নিজেদের দেশে উৎপাদনের ক্ষমতা নেই, তাদের অগ্রাধিকার দেবে ভারত। এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার COVAX স্কিমে টিকা দিতে হবে ভারতকে। মোট ৯২টি দরিদ্র ও মধ্য আয়ের রাষ্ট্রগুলি এই প্রকল্পের আওতায় করোনা টিকা পাবে। ভারত যে সারা বিশ্বকে করোনা টিকা পাঠাবে, সেই কথা প্রকল্পের সূচনাতেও উল্লেখ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী।