হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন চুন্নু কুমার (৪০)। বিহারে বাড়ি তাঁর। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে পাটনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি হন তিনি। রবিবার করোনাভাইরাসের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় হাসপাতাল। দেহও তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। কিন্তু পরে দেখা গেল হাসপাতালেরই বেডে সশরীরেই রয়েছেন চুন্নু কুমার।
করোনায় মৃত্যুর কারণ হওয়ায় দেহের কাছাকাছি যেতে পারেননি পরিজনরা। ঢাকা দেওয়া দেহ নিয়েই শেষকৃত্যের জন্য রওনা দেন তাঁরা। তবে শেষকৃত্যের আগে এক আত্মীয়া শেষবারের জন্য তাঁর মুখ দেখতে চান। মুখের চাপা সরাতেই চমকে ওঠেন তাঁরা। দেখা যায়, অন্য কোনও দেহ নিয়েই শেষকৃত্যে এসেছেন তাঁরা।
এরপরেই সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ছোটেন তাঁরা। ব্যাপারটা কী! হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, একটি বেডেই শুয়ে আছেন চুন্নু কুমার। অবস্থা স্থিতিশীল। এরপরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর ক্রোধে অগ্নিশর্মা হয়ে যান তাঁরা। জানা যায়, ভুল করে অন্য এক রোগীর দেহ দিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
সেই সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, চুন্নু কুমারের করোনা নেগেটিভ এসেছে। মৃত ব্যক্তির রেকর্ড কোনওভাবে চুন্নু কুমারের সঙ্গে মিশিয়ে গিয়েছিল। তার ফলেই এই বিপত্তি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী কবিতা। তিনি বলেন, 'আমাদের গোটা পরিবারের করোনা নেগেটিভ। আমার স্বামীর একটা পাও ভাঙা। বের হননি বেশ কয়েকদিন। তাঁর কী করে করোনা হবে?'