লাদাখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আপাতত দেরি আছে, এদিন স্পষ্ট করে দিলেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারভানে। তিনি জানান বর্তমানে যে দুই দেশ সেনা সরাচ্ছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে, তাতে দুই দেশেরই লাভ। কিন্তু পুরো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগবে ও আলোচনার মাধ্যমেই ধাপে ধাপে আরো সেনা কমানো সম্ভব।
নারাভানে বলেন যে কোনও চুক্তি স্থায়ী হতে গেলে, দুই পক্ষের মনে হওয়া দরকার তারা কিছু অর্জন করেছে। খুব ভালো ফলাফল হয়েছে আলোচনার। ইতিমধ্যে প্যাংগং সো থেকে দুই পক্ষ সেনা সরিয়েছে। যদিও নারাভানে মেনে নেন যে এখনও দেপসাং সহ বেশ কিছু জায়গায় সমস্যা আছে তবে সেটা মেটানোর জন্য ভারতের কাছে রণকৌশল আছে বলে জানান তিনি। তবে এই সংক্রান্ত তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি। লাল ফৌজের প্রতি ভরসার অভাবের জেরেই আলোচনা স্লথ গতিতে এগোচ্ছে বলে তিনি জানান। তবে তাও আলোচনার মাধ্যমে অনেকটাই কাজ হয়েছে বলে মনে করেন সেনাপ্রধান।
তিনি বলেন যে চিন বুঝে গিয়েছে অন্য দেশের সঙ্গে যে সালামি স্লাইসিং পদ্ধতি চালায় তারা, সেটা ভারতের সঙ্গে চলবে না। সালামি স্লাইসিং অর্থাৎ সালামি যেভাবে কাটে, সেভাবে অল্প অল্প করে অন্যের জমি দখল করার প্রক্রিয়া। চিন যাতে প্যাগং সো-তে কোনও গুরুত্বপূর্ণ চূড়ো দখল না করতে পারে, তার জন্য ভারত যাবতীয় পদক্ষেপ নিয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। তাঁরা বিশ্বাস করলেও যাচাই করে নেবেন বলে জানান নারাভানে। ভারতীয় সরকার বিশেষত অজিত ডোভালের ভূমিকার প্রশংসা করেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গির জন্যেই চিনের সঙ্গে সমস্যা অনেকটা নিরসন হয়েছে।