প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার পথে আরও একধাপ এগোতে চাইছে ভারত। আর সেই নিরিখে এবার কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের দ্বারস্থ হলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ভারতের প্রাইভেট সেক্টরে যে অস্ত্র তৈরি হচ্ছে তার পরীক্ষা ও সার্টিফিকেশনের জন্য় একটি নজরদারি কমিটি তৈরি অত্যন্ত প্রয়োজন। সেই কমিটি তৈরির সবুজ সংকেত দেওয়ার জন্যই কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের কাছে আবেদন করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এদিকে এবার কেন্দ্রীয় বাজেটেও প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার উপর ফোকাস করা হয়েছে। অন্য়দিকে দেশে একাধিক বেসরকারি সংস্থা উন্নতমানের সমর সরঞ্জাম তৈরির তোড়জোড় করছে। যেমন উন্নতমানের ড্রোন, স্বংয়ক্রিয় কমব্যাট ভেহিকেলস, এয়ারক্রাফট ইঞ্জিন, সাবমেরিন। কিন্তু এগুলির ক্ষেত্রে সরকারি ছাড়পত্র অত্যন্ত প্রয়োজন।
এদিকে প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা যে কতটা প্রয়োজন তা রাশিয়া-ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতিতে ফের আরও একবার সামনে এসেছে। কারণ অন্যান্যদেশে পরিস্থিতি বিগড়ে গেলে সেখান থেকে অস্ত্র আমদানির বিষয়টিও থমকে যেতে পারে। যার জেরে ফল ভুগতে হবে ভারতকে। সেকারণেও প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার উপর জোর দিচ্ছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভরতার মডেলকে সফল করতে একেবারে আদাজল খেয়ে নেমেছে প্রতিরক্ষা দফতর। প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে একটা নয়া দিশা দেখাচ্ছে এই নয়া মডেল।
এদিকে সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৪ সালের আগে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হলেও চিন নিয়ে কার্যত নীরব থাকত। ২০২০ সালের মে মাসে পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি কার্যত সজাগ করে দেয় ভারতকে। আর ইউক্রেন পরিস্থিতি আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে ভারতকে, আত্মনির্ভরতাই এই অনিশ্চিত পৃথিবীতে টিকে থাকার একমাত্র ওষুধ।