লাদাখ সীমান্তে কিছু রাস্তা ও ব্রিজের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। উল্লেখ্য, এই লাদাখেই চিনা আগ্রাসনের জোরদার মোকাবিলা করে মোক্ষম জবাব দিয়েছে ভারত। এদিকে লাদাখ সীমান্ত এলাকার ২৪ টি ব্রিজ ও ২টি রাস্তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠীনে যোগ দিয়ে, দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সাফ জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও ধরনের সংঘাতের সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, লাদাখের অপর প্রান্তে যখন চিন একের পর এক নির্মাণ কাজ পর পর চালিয়ে যাচ্ছে, তখন ভারতও চুপ করে বসে নেই। ভারতও লাদাখ সীমান্তের এপারে একাধিক নির্মাণ কাজে জোরদার পদক্ষেপ করেছে। লাদাখ সীমান্তে পরিকাঠামো গঠতে বহু নির্মাণ কাজ চলছে। কার্যত চিনকে টক্কর দেওয়ার মতো সমস্ত দিকে জমি পোক্ত করছে ভারত। উল্লেখ্য, গতবছরের মে মাসের পর থেকে ভারতীয় সেনা এই পরিকাঠামো নির্মাণের কাজে আরও গতি এনেছে। এদিকে, ভারতের লাদাখ সীমান্তে নিরপত্তা পোক্ত করতে মঙ্গলবার নতুন ২৪ টি ব্রিজের উদ্বোধন হয়। লাদাখ ছাড়াও, জম্মু ও কাশ্মীরের ৯ টি, হিমাচল প্রদেশের ৫ টি, উত্তরাখন্ডের ৩ টি, সিকিম ও অরুণাচলে ১টি ব্রিজের উদ্বোধন করেন রাজনাথ সিং। দিল্লিতে এই ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে লাদাখের দুটি ও পশ্চিমঙ্গের ১ টি রাস্তারও উদ্বোধন করেন রাজনাথ সিং। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, 'বর্তমানের অস্থির পরিস্থিতিতে কোনও ধরনের সংঘাতের সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থাগুলিই আমাদের বাধ্য করে এই এলাকাগুলিকে আরও উন্নত করার জন্য।' আর কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বার্তা যে খুবই ইঙ্গিতবহ , তা বলাই বাহুল্য।
একই সঙ্গে রাজনাথ সিং আরও বলেন, 'উত্তরের সেক্টরে যে পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা হয়েছিলাম, যেভাবে সেই প্রতিকূল পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করা হয়েছে, তা এই ধরনের উপযুক্ত পরিকাঠামো উন্নয়ন ছাড়া সম্ভব নয়।'এখানেই শেষ নয়। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, সীমান্তের পরিকাঠামোকে পোক্ত করার দিকে যতই এগোনো হবে, ততই বাড়াতে হবে আমাদের নজরদারি। এপ্রসঙ্গে অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, অবৈধ লেনদেনের সমস্যা নিয়েও বক্তব্য রাখেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ' আর সেই দিকেই নজর রেখে সরকার বহুদিন আগে, কম্প্রিহেনসিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি করেছে। এই সূত্র ধরেই তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ভারতে যে নীতি নেওয়া হয়েছিল,তাতে দেশের অভ্যন্তরের উন্নয়নে বেশি জোর দেওয়া হয়। তবে সীমান্তকে সেভাবে পোক্ত করা হয়নি। সেই জায়গা থেকে সীমান্ত এলাকার এই টানেল, ব্রিজ, রাস্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রসঙ্গে তিনি বিআরওপর কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন।