মঙ্গলবার ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী স্বনির্ভরতার দিকে আরও একঝাপ এগিয়ে গেল। ভারত ডায়ানামিস্ক লিমিটেডের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রক এদিন ২,৯৭১ কোটি টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। আর তার হাত ধরেই এবার দেশের মাটিতে তৈরি হতে চলেছে 'অস্ত্র' মিসাইল। ফলে এবার ৩ হাজার কোটি টাকার নয়া মিসাইল অস্ত্র খুব শিগগিরিই ভারতীয় প্রতিরক্ষায় শামিল হওয়ার অপেক্ষায়।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংক্রান্ত বিভাগ ডিআরডিওর তরফে এই মিসাইল নির্মাণের প্রযুক্তি দেওয়া হয়েছে ভারত ডায়ানামিক্স লিমিটেডকে। সুখোই ৩০ যুদ্ধবিমানে এই মিসাইল কার্যকর রূপ নেবে। এছআাড়াও তেজাসের মতো এয়ারক্রাফ্টেও কার্যকরী ভূমিকা নেবে এই মিসাইল। অন্যদিকে নৌসেনাকে বলিয়ান করতে আইএনএস বিক্রমাদিত্য থেকে নৌসেনার মিগ ২৯ বিমান এই অস্ত্র মিসাইল নিক্ষেপ করতে পারবে। এদিকে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের প্রতিরক্ষাবিভাগকে আরও স্বনির্ভরতার পথে নিয়ে যেতে এই পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে অস্ত্র মিসাইল অনেক কম সংখ্য়ায় নির্মাণের অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। এই প্রথম তা এত বিশাল সংখ্যায় অর্ডার দেওয়া হল। ফলে চিন ও পাকিস্তানের ঘুম উড়ে যেতে পারে ভারতের এই পদক্ষেপে। অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন? শরীরের 'স্ট্যামিনা' বাড়িয়ে নিতে এই কাজগুলি করছেন তো!
উল্লেখ্য, সদ্য রাশিয়া বনাম ইউক্রেন যুদ্ধের সময় ভারতের অস্ত্রের নিরিখে বিদেশের ওপর নির্বরতার প্রসঙ্গ বারবার উঠেছে। সেক্ষেত্রে অস্ত্র ক্রয়ের দিক থেকে দেশ যেভাবে রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল সেই জায়গা থেকে বিশ্ব আঙিনায় কূটনীতি কার্যত দিল্লিকে উদ্বেগে রাখে। আর রাশিয়ার উপর অস্ত্রের নিরিখে নির্ভরতা কমিয়ে ফেলতেই এমন স্বনির্ভরতার উদ্যোগ। প্রসঙ্গত বিয়ন্ড ভিস্যুয়াল রেঞ্জ বা বিভিআর ক্ষমতা সম্পন্ন একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে শত্রু শিবিরের যুদ্ধ বিমানকে আঘাত করতে পারে। জানা গিয়েছে খুবই কম খরচে উন্নতমানের মিসাইল হল অস্ত্র। যা বিপক্ষের এয়ার ডিফেন্সের মোড়ককে না ছুঁয়েই তাদের যুদ্ধ বিমানকে আঘাত করতে পারে। উল্লেখ্য, দেশে অস্ত্র নির্মাণকে আরও বেশি উন্নত করতে ভারত ৩১০ ধরনের অস্ত্রের আমদানি আগেই রুদ্ধ করেছে। এর আগে রাশিয়া ও ইজরায়েলের মিসাইলের ওপর ভারত নির্ভর করত। তবে সেই খামতি পূরণে অস্ত্রের মতো মিসাইল বড় পদক্ষেপ নিতে পারছে।