দেরাদুনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কাণ্ডে নয়া মোড়। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দাবি করা হয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া গাড়িতে যে জন ছিলেন, তাঁরা দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই মদ্যপান করেছিলেন। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কয়েকজন তরুণ-তরুণী পার্টি করছেন। অবশ্য ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে দাবি করা হচ্ছে, দুর্ঘটনার কয়েক মিনিট আগেই সেই ভিডিয়োটি করা হয়েছিল। সেখানে হাতে গ্লাস নিয়ে নাচানাচি করতে দেখা গিয়েছিল সেই পড়ুয়াদের। (আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশি হিন্দুদের নিয়ে ভারতের বলার দরকার নেই', বললেন ইউনুস সরকারের উপদেষ্টা)
আরও পড়ুন: বাংলায় নয়া রেলপথের 'কাঁটা' এক দিঘি, অনড় ৯১, ৯৫০ মিটারের জন্যে নাছোড়বান্দা রেলও
আরও পড়ুন: গুরু নানক জয়ন্তীতে আজ কি সরকারি ছুটি? ১৬ নভেম্বরও কি বাংলায় বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক?
উল্লেখ্য, এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১২ নভেম্বর ভোর রাত দেড়টা নাগাদ। দেরাদুনের ওএনজিসি চকে একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল সেই পড়ুয়াদের টয়োটা ইনোভা গাড়ির। এই দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুর হওয়ার পাশাপাশি একজন গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনায় মৃতদের নাম কুণাল কুক্রেজা (বয়স ২৩ বছর), অতুল আগরওয়াল (বয়স ২৪ বছর), ঋষভ জৈন (বয়স ২৪ বছর), নভ্যা গোয়েল (বয়স ২৩ বছর), কামাক্ষী (বয়স ২০ বছর), এবং গুনীত (বয়স ১৯ বছর)। মৃতদের মধ্যে থেকে কুণাল কুক্রেজা ছাড়া সকলেই দেরাদুনের বাসিন্দা ছিলেন। শুধু কুণাল হিমাচল প্রদেশের ছিলেন। এদিকে গাড়িতে থাকা সপ্তম যাত্রী সিদ্ধেশ আগরওয়ালকে (বয়স ২৫ বছর) দুর্ঘটনার পর গুরুতর অবস্থায় সিনার্জি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সিদ্ধেশ আগরওয়াল এখনও হাসপাতালে ভর্তি। তবে তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। এদিকে মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণে তিনি দুর্ঘটনা সম্পর্কে কোনও বিবৃতি দিতে পারছেন না। (আরও পড়ুন: 'কয়েকজন কুম্ভকর্ণ...', বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ! 'চটলেন' দলেরই নেতাদের ওপরে)
আরও পড়ুন: 'সাময়িক বঞ্চনার' অবসান, একলাফে ১২% ডিএ বাড়িয়ে কর্মীদের 'বড় উপহার' সরকারের
আরও পড়ুন: ১০০টি রুট 'হাওয়া', দৈনিক বাসের সংখ্যা ২৫০০ থেকে কমে ৭০০! গলার কাঁটা আরও ১৫০০
এদিকে দেরাদুনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছয় পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যরা এখনও পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেনি। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্য আইনি পদক্ষেপ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে পুলিশ। এদিকে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছ, দুর্ঘটনায় ট্রাক চালকের কোনও দোষ ছিল না। এদিকে ক্যান্টনমেন্ট থানার ইন্সপেক্টর কেসি ভাট জানিয়েছেন, মামলা দায়ের করার আগে মৃত পড়ুয়াদের পরিবারের অভিযোগের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ। এদিকে যেহেতু ওই ঘটনায় গাড়ির চালক প্রাণ হারিয়েছেন, তাই প্রচলিত আইনে তাঁকে দায়ী করা যায় না। তাই এই মামলায় সম্ভাব্য ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে পুলিশ আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করছে।