বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত ও গুরগাঁওয়ের ষোড়শী টিকটক স্টারের আত্মহত্যায় মুষড়ে পড়ে নিজেও আত্মঘাতী হল দেরাদুনের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বছর সতেরোর কিশোরীর কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার দেরাদুনে নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়েটি। এই বছরেই সে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার বাবা, মা ও দুই দাদা রয়েছেন।
তদন্তকারী আধিকারিক সিনিয়র সাব-ইন্সপেক্টর অজয় রাওয়াত জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরেই সুশান্ত সিং রাজপুত এবং ওই টিকটক স্টারের আত্মহত্যা নিয়ে বার বার কথা বলত এই কিশোরী। এমনই দাবি করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
রাওয়াত জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রাতের খাওয়া সেরে সে নিজের ঘরে শুতে গিয়েছিল। পরের সকালে অনেক ডাকাডাকিতেও দরজা না খুললে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাকে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বাড়ির লোক। তাকে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানানা, কিশোরীকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে।
পুলিশের দাবি, ‘প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যরাও আত্মহত্যার কোনও কারণ সম্পর্কে বলতে পারেননি। তবে জানা গিয়েছে, গত ১০-১২ দিন ধরে সুশান্ত সিং রাজপুত ও গুরগাঁওয়ের কিশোরী টিকটক স্টারের আত্মহত্যার কথা প্রায়ই বলত নিহত ছাত্রী।’
মেয়েটির বাবা তাকে অনেক বুঝিয়েছিলেন ওই সমস্ত ঘটনার কথা বেশি চিন্তা না করতে। কিন্তু কখনই তার কথায় বোঝা যায়নি যে, সে নিজেই এমন পদক্ষেপ করতে পারে।
রাওয়াত জানিয়েছেন, ময়না তদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ শ্বাসরোধ বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ গলায় ফাঁস দিয়ে তার আত্মহত্যার বিষয়টি সত্যি প্রমাণিত হয়েছে।