ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন যতই এগোচ্ছে, ততই সমীকরণ পালটে যাচ্ছে উত্তরপূর্বের এই বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্যে। এই আবহে এবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন তিপ্রা মোথা পার্টির প্রধান প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মা। বুধবারের বৈঠকে তাঁর সঙ্গে দলের অন্যান্য নেতৃত্বরাও দেখা করেন অমিত শাহের সঙ্গে। তবে এদিনের বৈঠকের একদিন আগেই প্রদ্যোৎ দেববর্মা দাবি করেছিলেন, গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড রাজ্য না হলে রাজনৈতিক সমঝোতা বা আসন বণ্টন নিয়ে কোনও আলোচনা তিনি করবেন না। এর আগে গত সপ্তাহেও নয়াদিল্লিতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার উপস্থিতিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রদ্যোৎ। (আরও পড়ুন: বিবিসির তথ্যচিত্রের সমালোচনার পর দিনই কংগ্রেস ছাড়লেন একে অ্যান্টনির ছেলে)
এদিকে তিপ্রা মোথা পার্টির পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনার মাঝেই বুধবার দিল্লি উড়ে যান তিপ্রা মোথার রাজ্য সভাপতি বিজয় কুমার হরাংখাওল, দলীয় ডেপুটি চিফ এক্সিকিউটিভ সদস্য এডিসি অনিমেষ দেববর্মা, প্রাক্তন মন্ত্রী মেভার কুমার জামাতিয়া, দলের বর্ষীয়ান নেতা চিত্তরঞ্জন দেববর্মা এবং জগদীশ দেববর্মা। সাংবাদিকরা দিল্লি যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে চিত্তরঞ্জন দেববর্মা বলেন, 'আমাদের একটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্। দিল্লিতে যেতে বলা হয়েছে। আমরা জানি না, কার সঙ্গে বৈঠক হবে।' এদিকে বিজেপির সঙ্গে জোট সম্ভাবনা প্রসঙ্গে অনিমেষ দেববর্মা বলেন, 'বৈঠকে আমাদের দাবিদাওয়ার সাংবিধানিক সমাধান বেরিয়ে এলে আমাদের কাছ থেকেও প্রত্যাশা করা হবে। রাজনীতিতে দেওয়া নেওয়ার নীতি অনুসরণ করা হয়। দেখা যাক সেখানে কী হয়।'
তবে এই নিয়ে চরম জল্পনার মাঝেই প্রদ্যোৎ দাবি করেন, আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়নি। এদিকে বিজেপির জোটসঙ্গী আইপিএফটি-কে তিপ্রা মোথার সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক করেছেন প্রদ্যোৎ। যদিও কোনও পক্ষই আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে মুখ খোলেননি। এই অঙ্ক কষাকষির মাঝে বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন, 'আমাদের সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াসের নীতি অনুসরণ করি। কেউ আমাদের সাথে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইলে আমাদের তাতে কোনও সমস্যা নেই।'
এদিকে প্রদ্যোৎ এই গোটা বিষয়টি নিয়ে বলেন, 'কোনও দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এসব গুজব। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছ থেকে জানতে পারি, বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ডের সাংবিধানিক সমাধান নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলেন মন্ত্রী। আমরা বারবার বলে এসেছি, আমাদের দাবির সাংবিধানিক সমাধানের বিষয়ে সরকার যদি লিখিত আশ্বাস না দেয়, তাহলে কোনও জোট বা আসন ভাগাভাগি করব না আমরা। কীভাবে আমাদের জনগণের জন্য অধিকার আদায় করতে হয়, তা আমরা জানি।'
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup