ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে দিল্লির বায়ুদূষণ। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের রবিবার একিইউআই পরিসংখ্যান সেখানে ৪০৭। আর এই ঘটনা এই মরশুমে প্রথমবার ঘটল। রাজধানীতে ‘কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট’ নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে সমস্ত রকমের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে হবে, তবে কিছু ক্ষেত্রে রয়েছে ছাড়। এছাড়াও রয়েছে বহু বিধি। দেখে নেওয়া যাক রাজধানীতে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানে’ তৃতীয় পর্যায়ে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সমস্ত প্রাইভেট নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ থাকবে ভেঙে ফেলার ও নির্মাণ কাজ, তবে তার আওতা থেকে শুধু রেল, মেট্রো, এয়ারপোর্ট সংক্রান্ত কাজ বাদ রয়েছে। এছাড়াও প্রতিরক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তা, আইএসবিটি সংক্রান্ত নির্মাণ কাজ থাকবে চালু। সরকারি স্যানিটাইজেশন প্রজেক্টে কিছু ক্ষেত্রে কাজ চালিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইঁটভাটা ও হট মিক্স প্ল্যান্টগুলি যদি পরিষ্কার জ্বালানিতে কাজ না করে,তাহলে তার কাজও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এই তালিকায় ছাড় রয়েছে জীবনদায়ী ওষুধ নির্মাণ কারখারা, দুগ্ঘজাত পণ্য উৎপাদন কারখানাগুলির।
পথের ধারের অংশ মেরামত বা নির্মাণ কাজ এই সময়কালে অনুমোদিত নয়।
দিল্লির বায়ু দূষণ পরিস্থিতি যে জায়গায় রয়েছে, তাতে BS III পেট্রোল ও BS IV ডিজেল চালিত গাড়ির তলাফেরা রুখে দিতে পারে প্রশসান। এর আগে যখন রাজধানীর বায়ু দূষণ খুব ‘গুরুতর’ পর্যায়ে খারাপ হতে শুরু করেছিল তখন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়।
CAQM এর নির্দেশ অনুযায়ী আর্থ মুভারের কাজ, নির্মাণ, ভেঙে ফেলা, নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহের ক্ষেত্রেও বহু বিধি নিষেধ প্রযোজ্য রয়েছে।