আগামী ২০২৫ সালের সম্ভবত ফেব্রুয়ারি–মার্চ মাসের মধ্যে নয়াদিল্লির বিধানসভা নির্বাচন হবে। এই বিষয়টি ধরে নিয়েই এখন মাঠে নেমে পড়েছে আম আদমি পার্টি। জোরদার প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা। বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বিতীয় দফার ২০ জন প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। আর ওই তালিকায় স্পষ্ট হয়েছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ২০ জন বিধায়কের মধ্যে ১৬ জনকেই বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর দু’জন বিধায়ক মণীশ সিসোদিয়া এবং ডেপুটি স্পিকার রাখি বিদলানকে নতুন কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। এই মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছিল দুর্নীতির অভিযোগে।
এদিকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলে মণীশ সিসোদিয়া সেকেন্ড ইন কমান্ড। সেখানে তাঁকে জেতা আসন পাটপাপগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সরিয়ে জাঙ্গপুরায় প্রার্থী করা হয়েছে। আর মণীশের ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রার্থী হচ্ছেন সিভিল সার্ভিস কোচিং সেন্টারের শিক্ষক এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখা ব্যক্তি অবধ ওঝা। যিনি গত সপ্তাহে আম আদমি পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। এই ঘটনা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। আর ডেপুটি স্পিকার রাখি বিদলানকে তাঁর জেতা আসন মঙ্গলপুরী থেকে সরিয়ে মাদিপুরে প্রার্থী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিজের ওয়ার্ডে ভেঙে পড়া বাড়ি পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী, নির্দেশ পেয়েই আজ যাচ্ছেন মেয়র
অন্যদিকে রাখি বিদলানের ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রার্থী হচ্ছেন রাকেশ জাটভ ধর্মরক্ষক। আর কৃষ্ণনগর এবং চাঁদনি চক বিধানসভা কেন্দ্র দুটি বিধায়কদের ছেলেকে প্রার্থী করা হয়েছে। কৃষ্ণনগরের বিধায়ক এসকে বাগ্গার ছেলে বিকাশকে দেওয়া হয়েছে। চাঁদনি চক কেন্দ্রের বিধায়ক প্রহ্লাদ সাওনীর ছেলে পুরণদ্বীপকে দেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে দিল্লির কুর্সিতে রয়েছে আপ। এবার চতুর্থবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দিল্লির কুর্সি দখলে রাখতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার। আপ সরকারের বিরুদ্ধে একটা হাওয়া আছে ঠিকই সেখানে বিজেপি কতটা থাবা বসাতে সেটাও লক্ষ্যণীয়।
এছাড়া এবার আম আদমি পার্টির হয়ে কাজ করছে আইপ্যাক। তারা দিল্লির দরবারে এই বিপরীত হাওয়া কাটিয়ে আপকে স্বমহিমায় নিয়ে আসতে পারে কিনা সেদিকে সকলে লক্ষ্য রেখেছে। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক গোপাল রাই বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছি। আমাদের আরও শক্তিবৃদ্ধি করতে হবে। আমরাই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে সরকার গঠন করব মানুষের সাহায্যে। বেশিরভাগ প্রার্থীই এবার নতুন। তাই তাঁদের আরও একটু বেশি সময় দিতে হবে।’