নির্বাচনী বিধি বা মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট (এমসিসি) লঙ্ঘন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী অতীশির বিরুদ্ধে উঠল অভিযোগ। জানা গিয়েছে এই নিয়ে, দিল্লি পুলিশের কাছে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে।
মঙ্গলবার কালকাজি বিধানসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির গোবিন্দপুরি থানায় দায়ের করা হয় এফআইআর। ঘটনায় আম আদমি পার্টি সরব হয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বলা হয়েছে,'দিল্লি পুলিশ, অফিসার এবং নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা বিজেপির চাপে কাজ করছেন।' আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন,' তাদের নেতারা প্রকাশ্যে টাকা, শাড়ি, কম্বল, সোনার চেইন ইত্যাদি বিতরণ করেন, জাল ভোট পান, তবুও একটি এফআইআরও নথিভুক্ত করা হয় না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী অতীশি জির বিরুদ্ধে অবিলম্বে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। আম আদমি পার্টি পুরো সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই পচা ব্যবস্থাকে পাল্টাতে হবে, পরিষ্কার করতে হবে জনগণকে নিয়ে। বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়ই একই পচা সিস্টেমের অংশ'।
আরও পড়ুন: ' নথিপত্র একেবারে পরিষ্কার': সিএম অতীশি বলেছেন শাকুর বস্তিতে বিজেপির মিথ্যা 'উন্মোচিত'
পুলিশ বলেছে যে MCC লঙ্ঘন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দিল্লি সরকারের পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (PWD) এর সরকারি যানবাহন ব্যবহার করার বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে, নির্বাচনী প্রচার বা নির্বাচন সংক্রান্ত ভ্রমণের জন্য সরকারী যানবাহন ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তা ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। শনিবার এই এফআইআর দায়ের করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লি পুলিশের একজন সিনিয়র অফিসার বলেন,' এফআইআর অনুসারে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) এর ধারা ২২৩৩(ক) এর অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে যা একজন সরকারী কর্মচারীর আদেশের অবাধ্যতার সাথে সম্পর্কিত। এই অপরাধের শাস্তি অবাধ্যতার প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। যদি অবাধ্যতা ক্ষতির কারণ হয় বা হুমকি দেয়, তাহলে শাস্তি ছয় মাস পর্যন্ত জেল বা ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।' এছাড়াও অবাধ্যতা যদি মানব জীবন, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয় আর, দাঙ্গা তৈরি করতে পারে, তাহলে শাস্তি ১ বছরের জেল ও ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
এদিকে, আপ রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেছেন যে বিজেপি মিথ্যা এই অভিযোগ করে চলেছে। তিনি বলেন,'নির্বাচন কমিশন, দিল্লি পুলিশ, এসএইচও, ডিএম এরা সবাই বিজেপির ভয়ে কথা বলতে পারছে না। নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে... আমরা যখন বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করি, তখন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। আমরা ভিডিও প্রমাণ সহ অভিযোগ দায়ের করেছি, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না... অতীশির বিরুদ্ধেও এই মামলায় সত্য বেরিয়ে আসুক। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করে চলেছে।'