দিল্লি নির্বাচনের আগে টিকিটের জন্যে ২৪ জন নেতা দল বদল করেছিলেন। তবে এর মধ্যে জিতেছেন মাত্র ৯ জন। দলবদলুদের ফলে সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে বিজেপি। দল বদল করা নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে হাই প্রোফাইল ছিলেন আপ সরকারের মন্ত্রী কৈলাস গেহলট। তিনি এর আগে নজফগড়ের বিধায়ক ছিলেন। তবে এই নির্বাচনে কৈলাস বিজেপির টিকিটে লড়াই করেন বিজওয়াসন থেকে। সেখানকার আর বিধায়ক সুরেন্দর ভারদ্বাজকে ১১ হাজার ভোটে হারান কৈলাস। এদিকে প্রাক্তন দিল্লি কংগ্রেস প্রধান আমরিন্দর সিং লাভলি দল বদল করে জয়ী হয়েছেন বিজেপির টিকিটে। (আরও পড়ুন: রতন টাটার আর্থিক বিনিয়োগে কার নিয়ন্ত্রণ থাকবে? বড় পদক্ষেপ ৩ সৎ ভাই-বোনের)
আরও পড়ুন: তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে চরমে জল্পনা, সেই পরবেশ ভোটে জিতে HT-কে বললেন...
এদিকে কংগ্রেসের তিনবারের বিধায়ক তরবিন্দর সিং মারওয়াহ বিজেপিতে যোগ দিয়ে হারিয়েছেন মণীশ সিসোদিয়াকে। এদিকে দিল্লির ছতরপুরে মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই দলবদলু। বিজেপি ছেড়ে আপে যাওয়া ভ্রম সিং তানওয়ার অবশ্য হেরে যান বিজেপির টিকিটে লড়া কর্তার সিং তানওয়ারের। অপরদিকে বিজেপি থেকে আপে গিয়ে পাটেল নগর আসনে জিতেছিলেন রাজ কুমার আনন্দ। এছাড়া বিজেপি থেকে আপে গিয়ে কিরারি থেকে জিতেছিলেন অনীল ঝাঁ। (আরও পড়ুন: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বাছাইতে থাকবে চমক? কবে গঠন হতে পারে সরকার?)
উল্লেখ্য, বিগত একদশকে দিল্লির গদিতে ছিল কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। ২০১৫ এবং ২০২০ সালের ভোটে তো কার্যত ঝাড় ঝড় তুলেছিল তারা। তবে ২০২৫ সালের নির্বাচনের আগে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল কেজরিকে। নিজে তিনি আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত। এর জন্যে তিনি জেলে পর্যন্ত গিয়েছেন। এর আগে দুর্নীতির দায়ে আপ হেভিওয়েট মণীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈনরা জেলে গিয়েছিলেন। যে আপ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে জন্ম নিয়েছিল, তারাই দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল। এই আবহে এই নির্বাচনে পদ্মপাঁকে আটকে যায় ঝড় থেমেছে ঝাড়ুর।
প্রসঙ্গত, দিল্লির ৪৮টি আসনে জিতেছে বিজেপি। যা কি না ম্যাজিক ফিগারের থেকে ১২টি আসন বেশি। এদিকে আম আদমি পার্টি জেতে ২২টি আসনে। কংগ্রেস শূন্যে দাঁড়িয়ে। আম আদমি পার্টির হেভিওয়েট নেতা - সৌরভ ভারদ্বাজ, সত্যেন্দ্র জৈন, মণীশ সিসোদিয়ারা হেরেছেন নিজেদের আসনে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে নয়াদিল্লি আসন থেকে হেরে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের নির্বাচনে এই নয়াদিল্লি আসনেই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে হারিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। সেই আসনে তিনি নিজে হারলেন এবারে। এই আবহে বিজেপি ২৭ বছর পর ফের একবার দিল্লিতে ক্ষমতা দখল করেছে।