দিল্লিতে Covid-19 রোধ করতে তাঁর সরকারের পঞ্চমুখী কর্মসূচি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেরিওয়াল। তিনি জানিয়েছেন, এর জন্য ৫টি T-এর উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে- টেস্টিং, ট্রেসিং, ট্রিটমেন্ট, টিমওয়ার্ক ও ট্র্যাকিং।
মঙ্গলবার ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সাবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়াল জানান, ‘সংক্রমণ ঠেকাতে ভাইরাসের চেয়ে আমাদের তিন কদম এগিয়ে থাকতে হবে।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আরও পরীক্ষা না করলে আমরা কীভাবে সংক্রমণের বিস্তৃতি জানব? ’
গত সোমবার কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে পরীক্ষার পরিমাণ দ্বিগুণ করা হবে। পরে তাঁর দফতর থেকে ব্যাখ্যা করা হয়, এ ক্ষেত্রে পরীক্ষা বলতে মুখ্যমন্ত্রী অ্যান্টিবডি টেস্ট বা র্যাপিড টেস্টর কথা বোঝাতে চেয়েছেন, যা ইতিমধ্যে অনুমোদন করেছে আইসিএমআর।
ট্রেসিং বা সন্ধান করার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে ২৫ হাজার ফোন নম্বর তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, কোয়ারেন্টাইন লঙ্ঘনের দায়ে ১৭৬টি এফআইআর দায়ের হয়েছে।
ট্রিটমেন্ট বা চিকিৎসার বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যে সরকারি হাসপাতালে ২,৪৫০ এর বেশি শয্যা এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৫০০ শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংক্রমণের হার বেড়ে গেলে শয্যা বাড়ানোর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
এই বিষয়ে গত শনিবারের বৈঠকে আরও বেশি সংখ্যক বেসরকারি হাসপাতাল চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল। জানা গিয়েছে পঞ্চাশোর্ধ্ব রোগী এবং অন্য সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভরতি করায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ রোধ করায় টিমওয়ার্ক জরুরি। লকডাউন তুলে নেওয়ার পরে রাজ্যগুলির মধ্যে সংযোগ অটুট না রাখতে পারলে সমস্যার মোকাবিলা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তিনি ভাইরাস রোধ করতে এ পর্যন্ত রাজনীতি ভুলে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলির সমন্বয় গড়ে তোলার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নজরদারির উপরেও অসীম গুরুত্ব আরোপ করে কেজরিওয়াল জানান, চব্বিশ ঘণ্টা নজরদারির উপরে জোর দিতে হবে। দিল্লির ক্ষেত্রে তার দায়িত্ব তাঁর নিজেরই, জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।