সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যুর মামলায় শশী থারুরকে বেকসুর খালাশ করল দিল্লির আদালত। সুনন্দা পুষ্কর হত্যা মামলায় এতদিন জামিনে মুক্ত ছিলেন শশী। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ এবং ৩০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দিল্লির এক হোটেলে উদ্ধার হয়েছিল ৫২ বছর বয়সি সুনন্দার দেহ। ময়নাতদন্তে পাকস্থলীতে বিষ মিলেছিল তাঁর। ওয়াশিংটনে এফবিআই-এর কাছে ভিসেরার নমুনা পাঠানো হয়েছিল। পাকস্থলী, প্লীহা, লিভার, কিডনি ও মূত্রের নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট পাঠায় তারা। রিপোর্টে বলা হয়, প্রত্যেকটি দেহাংশেই বিষ মিলেছে। বিষক্রিয়াই অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ।
সুনন্দা পুষ্করের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর সারা শরীরে বিশেষ করে হাতে ও পায়ে ১৫টি আঘাতের চিহ্ন ছিল। তদন্তকারীদের দাবি ছিল, স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত অশান্তির জেরে সুনন্দা মৃত্যুর কয়েকদিন আগে থেকেই চরম মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন। এই আবহে বিষে মৃত্যু ঘিরে স্বভাবতই সন্দেহের আঙুল গিয়ে পড়ে শশী থারুরের উফর। এর প্রেক্ষিতেই অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলার চার্জশিটে নাম যোগ হয় শশীর। শশী থারুরের আইনজীবী আদালতে জানান, শশী থারুরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল, তার কোনওটাই প্রমাণ করতে পারেনি বিশেষ তদন্তকারী দল। এরপরই শশী থারুরকে সমস্ত অভিযোগ থেকে রেহাই দেয় দিল্লি আদালত।
স্ত্রীকে অত্যাচারের ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ এবং ৩০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল শশী থারুরের বিরুদ্ধে। এতদিন ধরে জামিনে মুক্ত ছিলেন শশী থারুর। অবশেষে সাড়ে সাত বছর পর স্বস্তি পেলেন শশী থারুর। মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিচারকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন থারুর। তিনি বলেন, ধন্যবাদ। প্রায় সাড়ে সাত বছর ধরে মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করেছি।