কোভিড আক্রান্ত দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার চিকিৎসায় প্রয়োগ করা হল প্লাজমা থেরাপি। এই তথ্য জানিয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।
শারীরিক অবনতির কারণে বৃহস্পতিবার বিকেলে সিসোদিয়াকে লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করা হয় সাকেতের ম্যাক্স হাসপাতালে। সেখানেই এ দিন তাঁর কোভিড সংক্রমণের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে।
কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পরে সিসোদিয়াকে প্রথমে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন থাকার হপরামর্শ দেন চিকিৎক। কিন্তু বুধবার প্রবল জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে তাঁকে লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে ভরতি করা। বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, নভেল করোনাভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার পরে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া ডেঙ্গিতেও আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যাও দ্রুত কমতে শুরুকরেছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গতকালই তাই তাঁকে ম্যাক্স হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এ দিন সেখানে কোভিড চিকিৎসায় তাঁর শরীরে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে কোভিড সংক্রমণের বাড়াবাড়ি রোধ করতে দিল্লি সরকারের উদ্যোগের পুরোভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সিসোদিয়া। গত ১৪ সেপ্টেম্বর কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পরে তিনি টুইট করে সেই খবর প্রকাশ করেন। তাঁর সংস্পর্শে আসা সবাইকে দ্রুত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পরামর্শও দেন ৪৮ বছর বয়েসি উপ-মুখ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত কোভিড মোকাবিলার নিয়মাবলী অনুসারে, জটিল ও পুরনো শারীরিক সমস্যা আক্রান্ত রোগী এবং দশ বছরের কম বা ৬০ বছরের বেশি বয়েসিদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে একই সঙ্গে কোভিড ও ডেঙ্গি আক্রান্তদের জন্য কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতির কোথাও উল্লেখ নেই। এই কারণে রোগী অনুযায়ী চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় রদবদল ঘটতে পারে।
অন্য দিকে, গত কয়েক দিনে দিল্লিতে ফের কোভিড সংক্রমণের হার লাফিয়ে বাড়ছে। সংক্রমণের প্রত্যাবর্তন নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২.৬লাখ মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন রাজধানীতে। তাঁদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৫,০০০ এবং অ্যাক্টিভ রোগী প্রায় ৩১,০০০।