দু'জনেই ছিলেন বিজেপির তুরূপের তাস। একজন যদি প্রশান্ত ভূষণকে মেরে থাকেন অন্যজনও কম যান না। দিল্লির নির্বাচনকে ভারত বনাম পাকিস্তান বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। যদিও নির্বাচনে ধাক্কা খেলেন দুজনেই। একজন হারলেন ২০,০০০-এর ভোটে বেশি ব্যবধানে। অন্যজন ধরাশায়ী হলেন ১১,০০০-এর বেশি ভোটে। একজন তেজিন্দর সিং বগ্গা। অন্যজন কপিল মিশ্র।
উগ্র জাতীয়তাবাদের কারণে একাধিক খবরের শিরোনাম উঠে এসেছেন তেজিন্দর। যিনি অরুন্ধতী রায়ের উপর আক্রমণের চেষ্টা করেছিলেন। ২০১৫ সালে নমো পত্রিকা শুরু করেন তেজিন্দর। সেই বছরই টুইটারের প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাড়িতে ডাকও পান। ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার টুইটারে পর বিজেপি বিরোধীদের সঙ্গে 'লড়াইয়ের' দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেন তেজিন্দর। টুইটারে বিভিন্ন প্রচারও করতেন। সেই তেজিন্দরকে দাঁড় করিয়ে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেরুকরণই লক্ষ্য ছিল গেরুয়া শিবিবের। যাতে 'দেশপ্রেমিক'-দের ভোট বিজেপির দিকে যায়। কিন্তু সেই চেষ্টা একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। হরি নগরে ২০,১৩১ ভোটে তেজিন্দরকে পরাজিত করেছেন আপ প্রার্থী রাজ কুমারী ধিঁলো।
আরও পড়ুন : লোকসভা ভোটের পর একাধিক রাজ্যে ধাক্কা BJP, বিধানসভায় ফিকে মোদী-শাহর ক্যারিশমা?
তেজিন্দরের মতো হারের তেতো স্বাদ পেলেন কপিলও। যিনি আপ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে পদ্মের টিকিটে ভোটে লড়েছেন। প্রচারপর্বে 'গরম গরম' মন্তব্য করে বিতর্কেও জড়িয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল দুটো, এক ধর্মীয় মেরুকরণ। দুই, জাতীয়তাবাদী ভাবাবেগ হাতিয়ার করে দিল্লি ভোটে বাজিমাত করা। কিন্তু তা যে কাজে দেয়নি, ভোটের ফল বেরোতেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। মডেল টাউন বিধানসভা আসনে ১১,১৩৩ ভোটে হেরে গিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : 'পরাজয়ে আমরা নিরাশ হই না', সকালেই দিল্লি BJP অফিসের বাইরে পড়ল হোর্ডিং