অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হারানোর পরে পরবেশ কুমার তো বটেই, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরাও লাইমলাইটে উঠে এসেছেন। ভোটপর্বে তাঁরা আগাগোড়া নয়াদিল্লি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পরবেশের সঙ্গে ছিলেন। আর জয়ের পরে স্বভাবতই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন পরবেশের স্ত্রী স্বাতী এবং সন্তানরা। সেই পারিবারিক রসায়নে মজেছেন অনেকেই। তারইমধ্যে স্ত্রীয়ের সঙ্গে পরবেশের খুনসুটি নিয়ে একটা মজাদার বিষয় সামনে চলে এসেছে। বছরখানেক আগে বিজেপির ‘জায়ান্ট কিলার’ নেতা নিজেই জানিয়েছিলেন যে বিয়ের জন্য স্বাতীকে একটা শর্ত বেঁধেছিলেন। বলেছিলেন যে পাঁচ সন্তান চাই। তবেই বিয়ে করবেন। আর তারপর কী হয়েছিল, সেটাও বলেছিলেন পরবেশ।
‘বিয়ের স্রেফ এটাই শর্ত ছিল’, স্পষ্ট কথা পরবেশের
সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮ ইন্ডিয়ায় পরবেশ বলেছিলেন, '(স্বাতীকে বলেছিলাম) বিয়ের শর্ত হচ্ছে যে আমার পাঁচ বাচ্চা চাই। তো ও দু'মিনিট ভাবল। তারপর বলল যে ঠিক আছে। তো ও তৈরি হয়ে গেল। তো আমি খুশি হয়ে গিয়েছিলাম। বিয়ের স্রেফ এটাই শর্ত ছিল। তো আমি ভেবেছিলাম যে একটা বড় পরিবার হবে। সেটা আমার ভালো লাগে। আমার তিন সন্তানই সিজারিয়ান হয়েছে। তো একটি বিয়েবাড়িতে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল।'
ডাক্তারকে বলেছিলেন যে বড়সড় ক্ষতি করে দিয়েছেন!
ওই সাক্ষাৎকারে পরবেশ আরও বলেছিলেন, ‘আমি বললাম যে আপনি আমার বড়সড় ক্ষতি করে দিয়েছেন। ও উনি বললেন যে কেন? আমি বললাম, আমি চেয়েছিলাম যে আমার পাঁচ সন্তান হবে। যখন তৃতীয় সন্তান জন্মের পরে আপনি যখন ওকে নিয়ে এসেছিলেন, তখন বলেছিলেন যে পরবেশ আর নয়। আমি বলেছিলাম, আর কেন নয়? আরও দুই সন্তান চাই আমার। তো বলেছিলেন যে সিজারিয়ান উপায়ে তিন সন্তানেরই জন্ম হয়।’
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হবেন পরবেশ? অন্যতম ফেভারিট
আর এবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের সময় দুই মেয়ে ও স্ত্রী প্রায় সর্বক্ষণ ছিলেন পরবেশের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে আম আদমি পার্টির (আপ) জাতীয় আহ্বায়ক তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে হারিয়ে দিয়েছেন পরবেশ। জিতেছেন ৪,০৮৯ ভোটে। ৩০,০০৮ ভোট পেয়েছেন তিনি। আর কেজরির প্রাপ্ত ভোট হল ২৫,৯৯৯।
সেই জয়ের পরে দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রবলভাবে ফেভারিট হয়ে উঠেছেন পরবেশ। যিনি ১৯৭৭ সালের ৭ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরআরএস) বাল স্বয়ংসেবকে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির যুব মোর্চায়। দিল্লি বিজেপির সাধারণ সম্পাদকও হয়েছিলেন। দিল্লির বিধায়কও হয়েছিলেন পরবেশ। দু'বারের সাংসদ ছিলেন।