শিক্ষা ক্ষেত্রে ‘নো ডিটেনশন’ নীতি উঠিয়ে দিল দিল্লি সরকার। এই নীতির ফলে এতদিন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের পরীক্ষায় পাস করা বাধ্যতামূলক ছিল না। তবে শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন নীতি আনার ফলে এবার থেকে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের বার্ষিক পরীক্ষায় পাস বাধ্যতামূলক করল দিল্লি সরকার। নতুন শিক্ষা নীতি অনুযায়ী, পড়ুয়ারা পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে পাস না করলে তাদের পরবর্তী ক্লাসে ওঠানো হবে না। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই নীতি চালু করা হবে বলে দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোধিয়া জানিয়েছেন।
‘AAP ভেঙে BJP-তে যোগদানের প্রস্তাব’, বিস্ফোরক কেজরির ডেপুটি মণীশ
উপমুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পড়াশোনায় ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য শিক্ষার অধিকার আইনে নো ডিটেনশন নীতি চালু করা হয়েছিল। এরফলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাস করা বাধ্যতামূলক ছিল না। তবে এর ফলে পড়ুয়াদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সেই কথা মাথায় রেখেই এই নীতি বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন নীতির ফলে পড়ুয়াদের মধ্যে আরও মেধার বিকাশ ঘটবে বলেই মনে করছে দিল্লি সরকার।
নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী, কোনও পড়ুয়া পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে চূড়ান্ত পরীক্ষায় পাস না করলে তাকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া হবে আগামী দু'মাসের মধ্যে। তারপরেও যদি কোনও পড়ুয়া উত্তীর্ণ হতে না পারে তাহলে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য তাকে এক বছর অপেক্ষা করতে হবে।
এই নির্দেশিকাগুলি দিল্লির সমস্ত সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত, পুরসভা, দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এবং দিল্লির মধ্যে স্বীকৃত অনুদানবিহীন স্কুলগুলিতে প্রযোজ্য হবে বলে দিল্লির শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে শিশুদের শিক্ষার মূল্যায়নে মাধ্যমিক এবং বার্ষিক পরীক্ষার পাশাপাশি পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে প্রকল্প-ভিত্তিক ক্রিয়াকলাপ, পোর্টফোলিও, শ্রেণিকক্ষে শিশুর অংশগ্রহণ, থিয়েটার, নাচ, সঙ্গীত, খেলাধুলা এবং উপস্থিতির মতো কার্যকলাপ।